ওয়ার্নার-স্মিথের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার স্বস্তির দিন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্রিস রজার্সকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে শতরানের শুরু এনে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অ্যাডাম ভোজেসকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি গড়েছেন স্টিভেন স্মিথ। মাইকেল ক্লার্কের বিদায়ী টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া করেছে ৩ উইকেটে ২৮৭। ওভালের উইকেটে ছিল সবুজের ছোঁয়া। সকালে আকাশে ছিলো কালো মেঘের আনাগোনা। এসবের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী গত টেস্টে ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি। অস্ট্রেলিয়ার ভঙ্গুর আর নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ছিলো বড় পরীক্ষা। ওয়ার্নার-রজার্স সেই চ্যালেঞ্জ জয়ে দলকে এনে দেন শক্ত ভিত্তি। সহায়ক কন্ডিশনে ইংলিশ পেসারদের শুরুটা ছিলো দারুণ। আর ওয়ার্নার-রজার্সের শুরুটা ছিল সতর্ক। বেশ কবার অল্পের জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল। দাঁতে দাঁত কামড়ে তবু সময়টা পার করে দেন দুজন। প্রথম ১৪ ওভারে রান ছিল ১৯, ওয়ার্নারের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকার পরও প্রথম বাউন্ডারি আসে ১৫তম ওভারে! থিতু হওয়ার পর অবশ্য সহজাত ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার, ছন্দ পান রজার্সও। দুজনে মিলে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন আরেকটি শতরানের উদ্বোধনী জুটি। ৪১ ইনিংসে এই দুজনের এটি নবম শতরানের জুটি। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ৫টি শতরানের উদ্বোধনী জুটিও নেই বিশ্ব ক্রিকেটের আর একটিও। আগের টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চের আগে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া এবার লাঞ্চে যায় বিনা উইকেটে ৮২ রান নিয়ে। লাঞ্চের আধ ঘণ্টা পর রজার্সকে ফিরিয়ে ১১০ রানের জুটি ভাঙেন মার্ক উড। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে রজার্স ফেরেন ৪৩ রানে। ইনিংসটির পথে ছুঁয়েছেন ২ হাজার রান। দ্বিতীয় উইকেটে স্মিথ ও ওয়ার্নারের জুটি ৫১ রানের। মইন আলির ফ্লাইটে পুশ করতে গিয়ে ওয়ার্নার আউট হন ৮৫ রানে।