একই দিনে মাস্টার্স-শিক্ষক নিবন্ধন ও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা : বিপাকে চাকরিপ্রার্থী-শিক্ষার্থীরা

 

স্টাফ রিপোর্টার: একই দিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স, শিক্ষক নিবন্ধন এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্নাতক পাস চাকরিপ্রত্যাশি শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন করা হবে না। আগামী ২৮ ও ২৯ আগস্ট দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা জেলা শহরে নেয়া হলেও এ লিখিত পরীক্ষা হবে সাতটি বিভাগীয় সদরে। ২৮ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা না থাকলেও ২৯ আগস্ট ২০১২ সালের মাস্টার্সের পরীক্ষা রয়েছে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত হবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা। আর মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ২টায়। তারপরও অনেকের পক্ষেই দু পরীক্ষায় অংশ নেয়া সম্ভব হবে না বলে মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। শিবলী নোমান নামে একজন পরীক্ষার্থী বলেন, বিভাগীয় শহরের পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে জেলা শহরের আরেক কেন্দ্রে গিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় বসা সম্ভব না। ২৯ আগস্টের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান তিনি।
তবে ওই দাবি নাকচ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ফাতেমা বেগম গতকাল শুক্রবার বলেন, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কারণেই সকালের পরীক্ষা বিকেলে নেয়া হয়েছে, পরীক্ষাসূচিতে আর পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এদিকে ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ১৭ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় হবে। এতে অংশ নেবেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৫ জন। একই দিনে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার সূচি রয়েছে। শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা সাতটি বিভাগীয় সদরে হলেও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে প্রার্থীদের জেলা শহরে। ২৮ আগস্ট জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পঞ্চগড় ও বাগেরহাট জেলার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। এসব জেলার অনেক প্রার্থীই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ২৮ আগস্টের পরীক্ষা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ৩ সেপ্টেম্বর একই দিনে একই সময় বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের মাস্টার্সের পরীক্ষা থাকায় ওইদিনের মাস্টার্সের ৩০টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে আগামী ২৪ আগস্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের মাস্টার্সের পরীক্ষাগুলো সকাল ১০টার বদলে বেলা ২টায় নেয়া হবে। পিএসসি চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ বলেন, বিসিএস পরীক্ষার দিন অন্য কোনো পরীক্ষা পড়লেও পিএসসির পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই, নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা হবে। আগামী ৯ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা হবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

Leave a comment