কুষ্টিয়ায় ৭ আওয়ামী লীগ নেতার ১০ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় ক্ষমতাসীন আ.লীগ নেতাদের ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ বেলাল হোসেন। একই সাথে লাইসেন্স বাতিলকৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জব্দ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তারা হলেন-বহিস্কৃত আ.লীগ নেতা মোমিনুর রহমান মোমিজের ২টি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের ২টি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর ১টি, মিরপুর পৌর আ.লীগের যুগ্মআহবায়ক ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দারের ১টি, উপজেলা আ.লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দারের ২টি, মিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কাশেম জোয়ার্দ্দারের ১টি, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মধুর ১টি।
এদিকে গত শনিবার কুষ্টিয়ায় শোকদিবসের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে শর্টগান বের করে গুলি চালানো ঢাকার কাফরুল থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিসকে এখনো আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, ঘটনার পর থেকে ঢাকার কাফরুল থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শোকদিবসের কর্মসূচিতে কাফরুল থানার বরখাস্ত হওয়া এএসআই আনিসুর রহমান আনিস যে শর্টগান দিয়ে গুলি ছুঁড়েছিলো সেটি আ.লীগের বহিস্কৃত নেতা মোমিনুর রহমান মোমিজের লাইসেন্সকৃত শর্টগান।
সূত্র বলছে, ১৫ আগস্টের এ ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে পুলিশ সুপারের দফতর থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রের কাছে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, কুষ্টিয়া শহর আ.লীগের বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ও তার সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমান মধুসহ বেশ কয়েকজন আ.লীগ নেতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আ.লীগ নেতাদের ১০টি আগ্নেয়ান্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে এসব অস্ত্র জব্দ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হলে ছয়টি অস্ত্র জব্দ করা হয়। সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত শর্টগানটিসহ বাকি চারটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার জন্য মালিকদের জানানো হয়েছে।