অ্যাশেজের ব্যর্থতা বাংলাদেশে কাটানোর লক্ষ্য স্মিথের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এবারের অ্যাশেজে ভরাডুবি হওয়ায় পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানালেন বাংলাদেশে ভিন্ন কন্ডিশনে সতীর্থদের মাঝে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটাই হবে তার প্রথম চ্যালেঞ্জ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম চার ম্যাচেই হার নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। ট্রেন্ট ব্রিজে আড়াই দিনেরও কম সময়ে হেরে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাইকেল ক্লার্ক। আগামী সপ্তাহে ওভালে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে শেষবারের মতো খেলতে নামবেন বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ক।

তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে স্মিথের কাঁধে উঠবে টেস্ট নেতৃত্বের দায়িত্ব। মাঠের লড়াইয়ে সেটা শুরু হবে আগামী অক্টোবরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে। শুরুতেই সাফল্য মুঠোবন্দি করতে চান এই ব্যাটসম্যান। আগামী ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আর ১৭ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে নিজের বাংলাদেশ সফরে লক্ষ্যের কথা জানান স্মিথ।

আগামী সপ্তাহে ওভালে মাইকেলের শেষ ম্যাচের পর বাংলাদেশেই হবে প্রথম টেস্ট সফর। (এ সফরে) আমরা দেখাতে পারি যে , ভিন্ন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে আমরা খেলার ধরন পাল্টাতে পারি, বিশ্বজুড়ে আমরা লড়তে পারি। এমন এক মানের ক্রিকেট খেলতে পারি যা আমাদের সাফল্য এনে দেবে, ম্যাচ যেখানেই হোক না কেন। সবশেষ ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ওই সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলেছিলেন স্মিথ। তবে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি, ২ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে মাত্র ৬ রানই করতে পেরেছিলেন। তারপর আর কখনই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়নি স্মিথের। খুব বেশি ও লম্বা সময় বাংলাদেশের মাটিতে না খেললেও আইপিএল খেলার কারণে এ উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ পরিচিত স্মিথ। সে অভিজ্ঞতা থেকেও হয়তো বাংলাদেশ সফরে ভালো খেলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এর আগে তিন টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ; তবে সেটা নিয়মিত অধিনায়ক ক্লার্ক চোট পেয়ে ছিটকে পড়ায়। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নেতৃত্বে এসেই দলকে ৪ উইকেটে জয় এনে দেন তিনি। তার অধীনেই শেষ দুই ম্যাচ ড্র করে চার টেস্টের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।