এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার গৌরবে এইচএসসিতে পড়েছে কালির আঁচড়

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ শনাক্ত করণে তদন্তের দাবি অভিভাবক ফোরাম নেতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: যারা এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে তাদের অনেকেই এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। অবাক হলেও সত্য যে, এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই এইচএসসিতে হোঁচট খেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া দূরের কথা ফেল করেছে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে শিক্ষানুরাগীদের সামনে এ ছবি ফুটে উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১২৩৩ জন। ফেল করেছে ৪শ ৭৪ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ৩৬৬ জনের মধ্যে অকৃতকার্য ৯৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের কারো করো এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ই শুধু নয়, গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব রয়েছে। সেই গৌরবে এইচএসসিতে কেন পড়লো কালির আঁচড়। কেন অকৃতকার্য। এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে অনেকেই বলেছেন, পরীক্ষা চলাকালে একাধিক চক্রের ফাঁস করা ভুয়া প্রশ্নপত্রের ওপর যারা নির্ভর করে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আর এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করার পর এইচএসসিতে লেখপড়ায় অমনযোগিতাও অন্যতম কারণ। সেই সাথে ইংরেজি তো রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বিগত দিনে ভালো করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করা ছাত্রছাত্রীদেরই ভর্তি করেছে। তা হলে ভয়াবহ বিপর্যয় কেনো। বাধ্যতামূলক কোচিং করানো হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। এসএসসি পরীক্ষায় ফল ভয়াবহ বিপর্যয়ের মূল কারণ শনাক্ত করতে তদন্তের দাবি তুলেছেন অভিভাবক ফোরামের নেতা প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল মুত্তালিব। তিনি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার অভিভাবকমহল শুধু উদ্বিগ্নই হয়ে পড়েননি, লেখাপড়ার মান তলানিতে ঠেকায় দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ কারণেই তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতকে সুন্দর করার জন্যই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।