আলমডাঙ্গার মাজু গ্রামে গৃহবধূ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশ-গ্রামবাসীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার মাজু গ্রামে গৃহবধূ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশ-গ্রামবাসীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে মাজু গ্রামের মণ্ডলপাড়ার ১শ ৪০ পরিবার। রাতে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে গ্রাম।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের জসিম উদ্দীনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে অন্তরার সাথে ডাউকি ইউনিয়নের মাজু গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মিশকাতের প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর এক পর্যায়ে প্রায় দু বছর আগে অন্তরা বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। অন্তরার পিতা এ প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে নারাজ। প্রায় ৬ মাস আগে তিনি এক প্রকার জোর করেই অন্তরাকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন। এভাবে কিছুদিন কাটার পর এক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে অন্তরার আবার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে পুনরায় গোপনে প্রেমিকের নিকট পালিয়ে যায় অন্তরা। কুষ্টিয়া আদালতে গিয়ে বিয়ে করে। বেশ কয়েক মাস ঘরসংসার করছে তারা। প্রায় মাসাধিককাল আগে অন্তরার পিতা আব্দুল জলিল তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে মিশকাতের নামে আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মিশকাতসহ আসামিরা জামিনে আছে। অন্তরাকেও বিজ্ঞ আদালত তার স্বামীর জিম্মায় প্রদানের আদেশ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় গত ৫ আগস্ট কোর্টের সার্চ আসামি হিসেবে রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই জিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাজু গ্রামের মণ্ডলপাড়ায় যান অন্তরাকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করতে। পুলিশের সাথে অন্তরার পিতা ও চাচাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো। তারা মহিলা পুলিশকে নিয়ে অন্তরাকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। অন্তরাকে ধরে পুলিশের গাড়িতে তুলেও ফেলা হয়। এ সময় পাশের বাড়ির হেলালের স্ত্রী শাহনাজসহ আশপাশের মানুষ দ্রুত ছুটে যায়। অন্তরাকে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। অন্তরাকে বিজ্ঞ আদালত স্বামীর জিম্মায় জামিন দিয়েছেন বলে পুলিশের নিকট দাবি করে। তবে তাদের স্বপক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রি-কল থানায় জমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে এসআই জিয়া ওই গ্রামের নাহিদের জিম্মায় অন্তরাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। এ বিষয়ে লেখালেখির কাজ সম্পাদন করার সময় নতুন করে আরেক বিপত্তির সৃষ্টি করা হয়। গ্রামের জনৈক মহিলা মেম্বার ২ মহিলা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গালি দিয়ে পরিবেশ নতুন করে উত্তেজিত করে তোলে। এরই মধ্যে গ্রামের কয়েক শ মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গেছে। তারা পুলিশের সাথে তার অপ্রীতিকর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

ছেলের পিতা আব্দুল জলিল জানান, ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ সকল অজ্ঞাত আসামি হওয়ার ভয়ে পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

Leave a comment