মহাবিপর্যয়ের মধ্যেও রংধনুর পাসের হার ৯৫ শতাংশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় যখন গড় পাসের হার ৩৬ শতাংশ তখনও চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা শিক্ষাদান কেন্দ্র রংধনুর পাসের হার ৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তের ক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে হতাশ করেনি।

সারাদেশেই এবার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। যশোর বোর্ডে ঘটেছে এবার ফল বিপর্যয়, আর চুয়াডাঙ্গায় হয়েছে মহাবিপর্যয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, আদর্শ মহিলা কলেজ ও পৌর ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় সাড়ে ৪শ। এর মধ্যে এপ্লাস পেয়েছে ২৬ জন। সেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়ক শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোডে অবস্থিত রংধনু থেকে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ৪৪ জন। যা চুয়াডাঙ্গার তিনটি কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর ১০ শতাংশেরও কম। পাস করেছে ৪২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। এগ্রেড পেয়েছে ২৭ জন। এর মধ্যে ৭ জন পরীক্ষার্থী শুধু ১টি বিষয়ের জন্য এপ্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

রংধনুতে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম কেন? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রংধনুর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম স্যার বলেন, জেএসসি থেকে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। যেখানে প্রতিবছর জেএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ২শ, এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় দেড় শ। অথচ উচ্চ মাধ্যমিকে অর্ধশতও পোজে না। অভিভাবকদের গাছাড়া ভাব, শিক্ষার্থীদের স্বাধীনচেতা মনোভাব, তথ্যপ্রযুক্তির অপপ্রয়োগের পাশাপাশি পড়াশোনার চাপ এড়িয়ে যাওয়ার কারণেই উচ্চমাধ্যমিকে এসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে গত বছর ছিলো ব্যতিক্রম। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিলো ৭৩ জন। এর মধ্যে এপ্লাস পেয়েছিলো ৪৭ জন। শুধু তাই নয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধেও তাদের অর্ধশত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। সে কৃতিত্বের খবর দৈনিক মাথাভাঙ্গায় তো গুরুত্বসহকারেই প্রকাশ পায়।

যারা এ প্লাস পেয়েছে: চুয়াডাঙ্গা জেলার এতিমখানা পাড়ার সুলতান মাহমুদ ও আফরোজা সুলতানার মেয়ে সারাবান তাহুরা লরিন, আন্দুলবাড়িয়ার মো. আনোয়ার হোসেন ও মোছা. ডালিয়া খাতুনের ছেলে আহসান হাবীব সৌভিক। ঈদগা পাড়ার মো. গোলাম মোস্তফা ও মোছা. শাহীনা আক্তারের মেয়ে ঋত্বিকা মাহামুদা, শান্তি পাড়ার মো. মাসুদুজ্জামান ও মোছা. আফরোজা বেগমের ছেলে এসএম ফরহাদুজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলার আলীয়াট নগরের মো. আমজাদ হোসেন ও মোছা. মনজুরা খাতুনের ছেলে মো. আব্দুস সামাদ, চুয়াডাঙ্গার ইমার্জেন্সি রোড পাড়ার মো. আনোয়ার উদ্দীন ও মোছা. রওশন আনোয়ারার ছেলে এসএম রুহুল আজিম রিফাত, এতিমখানা পাড়ার মো. শফিকুজ্জামান ও মোছা. হাছিনা রোমানের ছেলে সাদিকুজ্জামান শোভন, বাগান পাড়ার মো. আতিয়ার রহমান ও ইম্মে সালমার মেয়ে রোকাইয়া খাতুন।

যারা এক বিষয়ের জন্য এ প্লাস পায়নি: জান্নাতুল ফেরদৌস রাজকুমারী জাহির উদ্দীন বাবর, আরিফা নাসরিন সুপ্তি, আসিফ মোর্শেদ নাবিদ, ওয়াহীদ আশরাফী আনিকা, মো. হাবীবুর রহমান, মো. আলী হোসেন।