আলমডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়ে পথিমধ্যে দেয় জুস আর পান
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে অজ্ঞান করে আলমসাধু হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে প্রতারক। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নিকটস্থ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে অজ্ঞান আলমসাধুচালক আলমডাঙ্গা বড়বোয়ালিয়ার ফারুককে (২৮) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত মধ্যরাতে তার জ্ঞান ফিরলে পরিচয় দিয়ে অজ্ঞান হওয়ার সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেন।
ফারুক চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বড়বোয়ালিয়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে ফারুক শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধুচালক। তিনি গতকাল সোমবার সকালে ভাড়া মারার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। আলমডাঙ্গা লাল ব্রিজের নিকট থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি কোলে শিশু নিয়ে আলমসাধু নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি আলমারি ও শোকেস নিয়ে আলমডাঙ্গায় ফেরার জন্য ভাড়া ঠিক করে। ৬শ টাকা ভাড়ায় রাজি হন ফারুক। চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যে প্রতারকের কোলে থাকা শিশু কান্না শুরু করে। শিশু কাঁদছে বলে জানিয়ে দোকানের সামনে দাঁড় করায়। প্রতারক জুস ও পান কেনে। জুস শিশুকে দেয়। আলমসাধুচালককেও দেয় জুস। পানও দেয়। জুস ও পান খাওয়ার পর কী ঘটেছে তা আর বলতে পারেন না ফারুক।
ফারুককে গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। আলুকদিয়া ঝোড়াঘাটের ভ্যানচালক ইছাহক তাকে হাসপাতালে নেন। তিনি বলেন, পৌরসভার অদূরে রাস্তার পাশে পড়ে ছিলো অজ্ঞান অবস্থায়। স্থানীয় দোকানিরা ওকে ভ্যানে তুলে দিয়ে হাসপাতালে নিতে বলেন। দোকানিদের কথায় আমি ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিই। গত মধ্যরাতে ফারুকের জ্ঞান ফেরে। বাড়িতে খবর দেয়া হয়। তার আগে ফারুক খানেকটা বেওয়ারিশের মতোই পড়ে ছিলেন হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের মেঝেয়।