মোমিনপুরের লতিফকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

চুয়াডাঙ্গা রতন ফুড থেকে ৮০ হাজার টাকা চুরি করে পালানোর চেষ্টা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রতন ফুড থেকে কৌশলে ৮০ হাজার টাকা চুরি করে সটকে পড়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুরের আব্দুল লতিফ। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার নিউ মার্কেটের অদূরবর্তী রতন ফুডের লোকজন তাকে ধরে পুলিশে দেন। গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা শহরের নিকটবর্তী ঘোড়ামারা ব্রিজের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকাসহ লতিফকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়।

অভিযোগ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ ওরফে লতিফ আহম্মেদ (৪০) নেশাখোর হিসেবে অনেকের মাঝেই চিহ্নিত। তার হাতটানের স্বভাব আছে বলে তল্লাটে অনেকেই জানেন। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন রতন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পাউরুটি কেনার নাম করে ঢোকেন লতিফ। দোকানিরা এ তথ্য দিয়ে জানান, পাউরুটি কেনার সময় কৌশলে দোকান থেকে ৮০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল নিয়ে সটকে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানের এক কর্মচারী টাকা না পেয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন। সন্দেহ করেন লতিফকে। কিন্তু ততোক্ষণে লতিফ চোখের আড়ালে চলে গেছেন। এ সময় দোকান মালিক আলমগীর হান্নান স্বপনের দুজন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন লতিফকে পাকড়াও করার জন্য। তারা দ্রুত গতিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের কাছে পৌঁছে দেখতে পান একটি অটোবাইকযোগে লতিফ বাড়ি মোমিনপুরের দিকে যাচ্ছেন। অটোবাইক থেকে লতিফকে নামিয়ে তার দেহতল্লাশি করে পুরো ৮০ হাজার টাকাই উদ্ধার করেন তারা। এ সময় লতিফকে আটক করে নিয়ে আসা হয় রতন ফুডে। সেখানে তাকে বেঁধে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় লতিফ জানান, তার পিতার নাম নাসির উদ্দীন। পরে পুলিশ জানতে পেরেছে তার পিতার নাম আমির উদ্দীন। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আব্দুল লতিফকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাহাজতে রাখা ছিলো।

রতন ফুড সূত্রে জানা যায়, পূর্বাশা পরিবহনের জ্বালানি বাবদ বকেয়া শোধ করার জন্য ৮০ হাজার টাকা গুনে রাখা হয়। টাকা দেখে চুরির ফন্দি আটে লতিফ। কিন্তু সে ফন্দি শেষমেশ টেকসই হয়নি তার। চুয়াডাঙ্গা কোর্ট এলাকার একাধিক দোকানদার অভিযোগ করে বলেছেন, লতিফ একজন মাদকসেবী এবং চোর। ইতঃপূর্বে কোর্ট এলাকায়ও দোকান থেকে চুরির সময় ধরা পড়েছেন লতিফ। রতন ফুডের আলমগীর হান্নান স্বপন জানান, প্রায়ই লতিফ দোকানে চুরির উদ্দেশে ঘুরঘুর করে। আগেই আমার সন্দেহ হয়েছে। এর আগেও সে দোকান থেকে চুরি করেছে বলে আমার ধারণা। স্বপন আরো জানান, লতিফ টাকা নিয়ে ধরা পড়ার সময় জজকোর্টের পেশকার বলে নিজের পরিচয় দিয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতের একজন কর্মচারী জানান, আব্দুল লতিফকে এর আগেও বিচারকরা সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু তার স্বভাব বদলায়নি। তিনি জানান, লতিফ পেশকার নন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নকলকারক।