চতুর্থ স্ত্রী শীলা খাতুনের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

নির্যাতনের কারণে এ বউও টিকলো না হিল্লু ড্রাইভারের

 

স্টাফ রিপোর্টার: চতুর্থ বউও টিকলো না চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের হিল্লু ড্রাইভারের। স্বামীর ওপর অভিমান করে চতুর্থ স্ত্রী শীলা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, শীলা নির্যাতন সহ্য না করতে পেরেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্বামী হিল্লু বলেছেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ায় শীলা আত্মহত্যা করেছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার কুদ্দুস ড্রাইভারের ছেলে হিল্লু ড্রাইভার ইতঃপূর্বে ৩টি বিয়ে করেন। কেউই না টিকলে বছর দুয়েক আগে পাবনার মেয়ে শীলা খাতুনকে বিয়ে করেন। এলাকার লোকজন জানায়, হিল্লু ড্রাইভার নেশাখোর। তিনি স্ত্রীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেন। এ কারণে একে একে তিনটি বউই বিদায় নিয়েছে। এরপর শীলা খাতুনকে নিয়ে সংসার করছিলেন হিল্লু। গতকাল শীলার সাথে কী ঘটনা ঘটেছিলো তেমন কেউ বলতে পারছে না। তবে হিল্লু ড্রাইভার বলেছেন, রান্নাবাড়া নিয়ে তার সাথে গণ্ডগোল হয়েছিলো। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হিল্লু ড্রাইভার বাড়ি থেকে বের হন। বেলা ৫টার দিকে এসে দেখেন শীলা গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলছে। তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীরা জানায়, ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে শীলা (১৬) আত্মহত্যা করে। পাবনায় খবর পাঠানো হয়েছে, শীলার পিতাপক্ষের লোকজন এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে গতরাতে প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের জানায়।