বরগুনায় মাছ চুরির অপবাদে শিশু রবিউলকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে শিশু রাজন এবং খুলনার রাকিব হত্যার পর এবার বরগুনার তালতলীতে ১১ বছরের রবিউল আউয়াল নামের এক শিশুকে মাছ চুরির অভিযোগে চোখ উপড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে তালতলী উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে রবিউলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিউল ওই এলাকার ফরাজী বাড়ী দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার নাম মো. দুলাল মৃধা। গতকাল বুধবার দুপরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর পরই মামলার মূল আসামি মিরাজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিউল আউয়াল ফরাজি বাড়ি দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তার বাবার নাম দুলাল মৃধা। মঙ্গলবার বিকেলে আমখোলা গ্রামের খালপাড় থেকে রবিউল আউয়ালের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা জানিয়েছেন, বাড়ির পাশের লুতরার খালে জাল পেতে মাছ ধরে তাদের প্রতিবেশী মিরাজ। দু দিন আগে তার জালের মাছ চুরি হওয়ায় রবিউলকে সন্দেহ করে সে। ওই দিনই সে জানিয়েছে, রবিউলকে মাছ চুরি করা অবস্থায় পেলে সে মেরে ফেলবে। এ ঘটনার পর গতকাল বিকেলে সোহাগ নামের অপর এক কিশোর আমখোলা গ্রামের খালপাড়ে রবিউল আউয়ালের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজনদের খবর দেয়। এ সময় রবিউলের বাবা দুলাল মৃধার উপস্থিতিতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রবিউলের ফুপাতো বোন সাহিদা বলেন, আমি শুনছি যে, আমার ফুপাতো ভাই রবিউল আউয়াল নাকি মাছ ছাড়াইতে গেছে। তার পরে মিরাজ নামের একটা ছেলে, ও ওরে (রবিউল) শাবল দিয়া পিটান মারছে (পিটিয়েছে)। শাবল দিয়া পিটান মাইরা ওর একটা চোখ ডাবাইয়া (ডাবিয়ে) ফালাইছে। কপালেরও অর্ধেক ফালাইয়্যা দিছে।

তালতলী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার জানিয়েছেন, গতকাল তারা লাশ উদ্ধার করলেও মামলা হয়েছে আজ বুধবার দুপুরে। শিশুটির বাবা দুলাল মৃধা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানিয়েছেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।