আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনের অফিস রুমের ছাদ ধসে পড়ছে পানি : নেই স্টেশন মাস্টার ও গণশৌচাগার

অনিক সাইফুল: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অফিসের কাজ চলছে ঝুঁকি নিয়ে। একটু বৃষ্টি হলেই বিট্রিশ আমলের তৈরি অফিস রুমের ছাদ চুয়েঁ পানি পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় অফিসের কাজ কর্ম। অফিসের কাগজপত্র, টেলিফোনসেটসহ অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিতে হয়। মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের সার্বিক দায়িত্বে থাকা পয়েস ম্যানেরা বহুবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। রেলস্টেশন সংলগ্ন একমাত্র গেটের অবস্থাও করুণ। স্টেশনটিতে নেই কোনো গণশৌচাগার।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন নানা সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। কাগজকলমে স্টেশন মাস্টার থাকলেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন অন্য স্টেশনে। কিন্তু বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছেন মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের। ৬ মাস পর একদিন এসে হাজিরা করে যান তিনি। এ ব্যাপারে স্টেশনের দায়িত্বে থাকা পয়েস ম্যান হাফিজ উদ্দিন ও সাহাজান আলী অভিযোগ করে জানান, স্টেশনটি বিট্রিশ আমলের। মাস্টাররুম তথা অফিস রুমের যেনতেন অবস্থা। অনেক আগেই ছাদ ধসে গেছে। ছাদের ওপর জন্মেছে আগাছা। একটু বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে যায় অফিসরুম। রুমের মধ্যে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর বৃথা চেষ্টা করা হয়। বৃষ্টিতে অফিসের চেয়ার টেবিল, টেলিফোন, কাগজপত্র ভিজে যায়। আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখলেই পাশের দোকানে অফিসের জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এ ধরনের ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। ওয়েটিং রুমের অবস্থা একই রকম। ট্রেন যাত্রীদের নেই কোনো বসার স্থান। যাত্রীদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় স্টেশনের পাশে দু ধারের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। স্টেশনে নেই যাত্রীদের জন্য গণশৌচাগার। অথচ মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে রকেট, মাহনন্দা ও নকসিকাঁথা (গোয়ালন্দ) ট্রেন আপ ও ডাউন লাইনে থামে ও ছেড়ে যায়। স্টেশনের যাত্রীসহ মালামাল ওঠানামা করে। অপরদিকে ট্রেন দেখে গেট ফেলতে হয়। গেট ফেলে দিলেও গেটের নিচ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও ছোট গাড়িগুলো পারাপার করে। এছাড়া কাগজ কলমে স্টেশন মাস্টার থাকলেও চাকরি করেন অন্য জেলাতে। স্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াত তুরকি দীর্ঘদিন ধরে আসেন না। শেষ কবে এসেছেন কেউ বলতে পারে না। তিনি চাকরি করেন ফরিদপুরে। কিন্তু বেতনভাতাসহ অনান্য সুবিধা ভোগ করেন এ স্টেশন থেকেই। ৬/৭ মাস পর একদিন এসে হাজিরা খাতাই গড় হাজিরা দিয়ে চলে যান। এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ স্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াত তুরকির সাথে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আমাকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে পোস্টিং দিয়ে ফরিদপুরে নিয়ে কাজ করাচ্ছে। আমি ৮ মাস ধরে এভাবেই চাকরি করছি।