চুয়াডাঙ্গায় গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস

আধুনিক শিক্ষা নীতিতে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা নানা সুবিধা ভোগ করছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ চত্বরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. শামশুজ্জোহা, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হকসহ প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, বর্তমান আধুনিক শিক্ষা নীতি গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানে সুদূর প্রসারী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সে সময় সরকার মধ্যাহ্ন খাবারের ব্যবস্থা করলেও শিক্ষার মান ততোটা উন্নত করা যায়নি। কিন্তু বর্তমান শিক্ষা নীতিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে। তাদের প্রাথমিক স্তর থেকে স্নাতক সম্মান পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার যেন কোনো শিক্ষার্থী টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ করে না দেয়। আমি জেলা পরিষদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বছরের প্রথমেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকারে থাকলে তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় অস্ত্র। এটাই তাদের ধর্ম। আজ দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখান করে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। কোনো গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী নেই যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে।

আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. শামশুজ্জোহা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর পলিটেকনিক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিঙের ছাত্র হারুন অর রশিদ ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আসমা উল হুসনা। অনুষ্ঠানে শেষে গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগের ৬৮ জন (সাধারণ ৬২ জন, মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য ৫ জন ও প্রতিবন্ধী ১ জন), মানবিক বিভাগে ৪০ জন (সাধারণ ৩৯ জন ও প্রতিবন্ধী ১ জন), বাণিজ্য বিভাগে ১৬ জনকে (সাধারণ ১২ জন, মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য ৩ জন ও প্রতিবন্ধী ১ জন) মাথাপিছু হারে দু হাজার ৫শ টাকা, মেডিকেল/ডেন্টাল বিভাগে ১৬ জন (সাধারণ ১৬ জন), প্রকৌশল বিভাগে ১৮ জন (সাধারণ ১৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য দুজন), বিশ্ববিদ্যালয় (কৃষি) বিভাগে ৬ জন (সাধারণ ৬ জন) ও বিশ্ববিদ্যালয় (সাধারণ) ৪৫ জনকে (সাধারণ ৪০ জন, মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য ৪ জন ও প্রতিবন্ধী ১ জন) ৪ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ২০৯ জনকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওই শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলী।