ভারতের ইছামতি নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে জীবননগরের ৩শ বিঘা জমির ধান ও ভেসে গেছে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছের রেণু

 জীবননগর ব্যুরো: ভারতের নদীয়া জেলার ভজোনঘাট এলাকার ইছামতি নদীর পানি চুলকানির খাল হয়ে জীবননগর উপজেলার বেনীপুর বাঁওড়ে প্রবেশ করছে। একদিকে ভারি বর্ষণ এবং অপরদিকে গত ৫ দিন থেকে ভারত থেকে উজানের পানি আসায় বেনীপুর বাঁওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৩শ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিল-নার্সারি স্থাপন ও অবমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এবং বেনীপুর মৎস্য সমিতির প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৭টি পুকুরের মাছের রেনু ভেসে গেছে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল হাফিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরহাদুর রেজা গতকাল সোমবার বিকেলে বেনীপুর বাঁওড় ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান, গত ৫ দিনে ভারতের ইছামতি নদীর পানি চুলকানির খাল হয়ে বেনীপুর বাঁওড়ে প্রবেশ করার কারণে বাঁওড়ের পানি প্রায় ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেনীপুর বাওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার দুশ কৃষকের প্রায় ৩শ বিঘা জমির ধান পানিতে একেবারে তলিয়ে গেছে। বেনীপুর গ্রামের কৃষক হাসেম আলী বলেন, এবার দেড় বিধা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। কিন্তু ধান প্রায় পাঁকা অবস্থায় কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে উজানের পানি আসায় সব ধান ডুবে গেছে। এ কারণে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। একই কথা বলেন, ধানচাষি বেনীপুর গ্রামের হাবেল উদ্দীন, হকাজ্জেল, হাসমত আলী ও আবুল কাশেম। তাদের সবারই দাবি টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে উজানের পানি আসাই সবার ধান ডুবে গেছে।

এ ব্যাপারে বেনীপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক দাবি করেন, প্রতি বছরই ভারতের ইছামতি নদীর পানি চুলকনির খাল হয়ে বেনীপুর বাঁওড়ে প্রবেশ করে এবং এ কারণে বেনীপুর বাঁওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৩শ থেকে ৪শ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এলাকার কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। যদি সরকারিভাবে বাংলাদেশের সীমানায় চুলকনির খালের মুখে সুইচগেট তৈরি করা হয় তাহলে প্রতি বছর ৩-৪শ বিঘা জমির ধার ডুবে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাবে।