পুলিশ পৌঁছুনোর পূর্বেই অপরাধীদের মেলার মাঠ ত্যাগ?

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো, পুলিশ পৌঁছুনোর পূর্বেই অপরাধীরা প্রস্থান করলো’ এরকম বহু ট্যানসিলেশন করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ব্যাকরণ বা গ্রামারে এসব উক্তি কেন গুরুত্ব পেয়েছে কে জানে? তবে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেলার মাঠে পুলিশ পৌঁছুনোর আগেই অপরাধীদের ভোল পাল্টানো দেখে মুখ টিপে হেসেছেন অনেকে।

পুলিশ পৌঁছুনোর আগে ভ্যারাইটিজ বন্ধ হয়েছে, পাওয়া যায়নি একটি জুয়োর বোর্ডও। উধাও? নাকি তাদের বর্ণবদল? অধিকাংশ মেলার মাঠেই কি পুলিশ পৌঁছুনোর পূর্বেই অপরাধীদের প্রস্থান হয়? নাকি এবার মেলার মাঠে সত্যিই ওসব কিছু হচ্ছে না! এসব প্রশ্নের জবাব এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট হলেও দায়িত্বশীলদের কাছে ধোয়া ধোয়া কুয়াশাচ্ছনতাই ভরা। এ অভিমত স্থানীয়দের অনেকের। এলাকার অভিযোগকারীদের অভিযোগ, ঐতিহ্যবাহী মেলার মাঠে কি হচ্ছে না? কতো রকম জুয়ো তার কোনো ইয়ত্তা নেই। যাত্রার নামে আর পুতুল নাচের নামে যা হচ্ছে তা সভ্য বলা চলে না। অথচ গত রাত ১০টার দিকে যখন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত শিকদার, ওসি (তদন্ত) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌঁছান মেলার মাঠে তখন ওসব কিছুই পাওয়া গেলো না। একইভাবে গত ৩ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাতে অভিযান শুরু করলেও অবৈধ তেমন কিছুই খুঁজে পাননি। এরই প্রেক্ষিতে মেলার আয়োজকদের তরফে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, একটি চক্রান্তকারী চক্র বানোয়াট অভিযোগ তুলে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। সকলের সহযোগিতা নিয়েই মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।