ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে টাইগারদের সংগ্রহ ২৪৬/৮

স্টাফ রিপোর্টার: দিনশেষে স্কোর ৮ উইকেটে ২৪৬। দৃশ্যত মোটেও ভালো কিছু না। তবে আরও দর্শনীয় হতে পারতো স্কোরটা। অনায়াসে স্কোরটা ৪ উইকেটের বিনিময়েই হতে পারতো। সেটা হলো না কেবল একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কারণে। দিনের সেরা ব্যাটসম্যানটির বিপক্ষে উইকেটের পেছনে ক্যাচের আবেদন ছিলো। বারবার দেখেও আউটের স্বপক্ষে টেলিভিশন রিপ্লেতে তেমন কিছু পাওয়া গেলো না। অথচ তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন।

মাথা নিচু করে ফিরে আসতে হলো দীর্ঘদিন পর রানে ফিরে ৬৫ রানের ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিমকে। এ ফিরে আসার ভেতর দিয়ে শুধু মুশফিক যে আরও বড় ইনিংস থেকে বঞ্চিত হলেন, তাই নয়; বাংলাদেশ তাদের অসামান্য দিনটাকে বাঁধিয়ে ঠিক রাখতে পারলো না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিক ৬৫, মুমিনুল হক ৪০, সাকিব ৩৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৫, ইমরুল ৩০, তামিম ৬ এবং লিটন দাস ৩ রান সংগ্রহ করেন। নাসির হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের হাতে আর মাত্র দুটি উইকেট রয়েছে। আজ শুক্রবার জুবায়ের এবং মুস্তাফিজকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে নাসির। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিঙের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ইনিংসের গোড়া পত্তন করতে নেমে ব্যর্থ হন তামিম ইকবাল। প্রথম টেস্টের হাফসেঞ্চুরিয়ান আজ মাত্র ৬ রান করে আউট হন। ডেল স্টেইনের করা অফসাইডের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে স্লিপে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তামিমের উইকেট দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন স্টেইন। দিনের শুরুতে তামিম ইকবালের আউটের পর ইমরুল কায়েস ও মমিনুল হক ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিলো ৭৫ রান। লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ৪.১ ওভারে দলীয় স্কোরে ১১ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন ইমরুল ও মমিনুল। অকেশনাল বোলার জেপি ডুমিনির হাতে বল তুলে দিলে প্রথম ওভারেই ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। মমিনুলকে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বিদায় করেন ডুমিনি। পরের ওভারেই ওপেনার ইমরুলকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলে ব্যক্তিগত ৩০ রানে প্যাভেলিয়নে পাঠান জেপি।

দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলতে এরপর হাল ধরেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। তাদের জুটিতে আসে ৯৪টি মূল্যবান রান। এরপর চা বিরতি থেকে এসেই আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৩৫ রানে স্টেইনের বলে আউট হন। এরপর সাকিবকে সাথে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে এলগারের বলে আউট হন মি. ডিপেনডেবল খ্যাত মুশফিক। এরপর মাত্র ৩ রান করে আউট হন লিটন দাস। শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ৩৫ রান করে মর্কেলের বলে আউট হলে বড় সংগ্রহের স্বপ্নে ভাটা পড়ে বাংলাদেশের। এরপর শহীদ আউট হলে দিনের ১.৫ ওভার থাকতেই খেলা শেষ করেন আম্পায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে স্টেইন ও ডুমিনি ৩টি করে এবং এলগার ও মর্কেল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।