স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার বিকেল চারটায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবার কথা। কিন্তু বিকেল পাঁচটায়ও সংশ্লিষ্ট স্টেশন মাস্টার যাত্রীদের জানাতে পারেননি, ট্রেনটি কখন রাজশাহীতে এসে পৌঁছাবে? খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি গতকাল শনিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায়। তাহলে ঢাকায় পৌঁছাবে কখন?
গতকাল শনিবার রাজশাহী থেকে নীলফামারীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকাল তিনটায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি ছেড়ে যেতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে গত শুক্রবার রাত ১১টার ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিলম্বে রাত ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আর ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে সকাল ১০ টায় ছেড়ে যায়।
যাত্রীদের অভিযোগ, বিলম্বিত ট্রেন সম্পর্কে তথ্য নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন না। বরং খারাপ আচরণ করছেন তারা। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাক-বিতণ্ডাও হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জানান, ট্রেনে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। ভিড়ের কারণে প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের ওঠা নামায় বেশি সময় লাগছে। যাত্রীদের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ট্রেন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। তবে শীঘ্রই এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।