চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সর্পদংশনে নাতির মৃত্যু : দাদা হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার: সাপের দংশনে দাদার বুকের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা তিন বছরের নাতি জুবাইর হোসেনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। দাদাকেও সাপে দংশন করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘরের বারান্দায় শুয়ে থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে দাদা-নাতিকে সাপে দংশন করে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের বাগানপাড়ার ঝন্টুর তিন বছর বয়সী ছেলে জুবাইর হোসেনকে বুকের ভেতর নিয়ে তার দাদা ইসলাম উদ্দিন (৫২) ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জুবাইরকে রাত ১টার দিকে একটি বিষধর সাপে দংশন করে। সে কান্নাকাটি করতে থাকে। কিন্তু প্রথম দিকে দাদা বিষয়টি বুঝতে না পেরে তার কান্না থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দাদা ইসলামকেও সাপে দংশন করলে বাড়ির সবাই জেগে যায়। গ্রামের কারো কারো পরামর্শে দাদা-নাতিকে নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী গোষ্টবিহার গ্রামের কবিরাজ হযরত আলীর কাছে। তিনি সারারাত ঝাড়ফুঁক করেন। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে নাতি শিশু জুবাইর মারা যায়। এ সময় কবিরাজের চৈতন্য ফেরে। তিনি দাদা ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সকালে দাদাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে সাথে সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রয়োজনীয় এন্টিভেনম দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। একজন চিকিৎসক জানান, সাথে সাথেই যদি শিশু জুবাইরকে কবিরাজের কাছে না নিয়ে হাসপাতালে আনা হতো তাহলে সে বেঁচে যেতো। গ্রামসূত্রে জানা যায়, দংশনের পর ইসলাম উদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই সাপটি ধরে গ্রামবাসী মেরে ফেলে।