স্ত্রীর পরিকল্পনাতেই ছিনতাইয়ের নামে খুন

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসায় এতোটুকু কমতি ছিলো না। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই ওঠেন নতুন বাসায়। স্ত্রীর মনের মতো করেই সাজিয়ে তোলেন ছোট্ট সংসার। নিয়তির এমনই পরিহাস, সেই স্ত্রীর সাজানো ছকেই প্রাণ দিতে হলো তাকে।

এমনই ট্রাজেডির শিকার হয়েছেন ওবায়দুল হাসান। রাজধানীর কলাবাগান থানার কাছে ছিনতাইয়ের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় তাকে। আর এর পরিকল্পনাকারী ছিলেন পরকীয়ায় জড়িত তার স্ত্রী তাসমিন খাদিজা সোনিয়া। ২৬ জুন রাতে নিহত হন পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে সানোয়ারা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সাব-জিরো (কোয়ালিটি) আইসক্রিম পার্লারের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ওবায়দুল হাসান (৩৬)। তিনি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাগ্নে। ওবায়দুল হত্যাকাণ্ডের পর ধারণা করা হয়েছিলো এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সোনিয়ার নাম আসার পর থেকে তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার ডিবির একটি দল তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ডিবির ডিসি মাশরুকুর রহমান খালেদের তদারকিতে রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাতের তত্ত্বাবধানে এসআই দীপক কুমার দাস গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া স্বীকার করেছেন, তার পরিকল্পনা এবং তার দেয়া টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে ওবায়দুলকে খুন করা হয়। আর এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় তার প্রেমিক সাইফুল হাসান রুবেল। হত্যাকাণ্ডে রুবেলের সহযোগী ছিলো তার তিন ভাগ্নে। ওবায়দুল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া এ চারজনের মধ্যে মূল ঘাতক তানভীর ও তথ্যদাতা মিঠু ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোনিয়ার প্রেমিক রুবেল এবং অপর সন্দেহভাজন পাপ্পুও গোয়েন্দা জালে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কলাবাগান থানায় ২৭ জুন দায়ের হওয়া ওবায়দুল হত্যা মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মাসরুকুর রহমান খালেদ জানান, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল্লাহ রুবেলের সাথে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন সোনিয়া। ওই সময় থেকে তাদের মধ্যে চার বছরের প্রেম ছিলো। এ অবস্থায় ৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে ওবায়দুলের সাথে বিয়ে হয় সোনিয়ার। বিয়ের পরও রুবেলের সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখত সোনিয়া। নিয়মিত দেখা করা ছাড়াও ওবায়দুল অফিসে থাকাকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলফোনে কথা বলত। বিয়ের সময় ওবায়দুল তার মামা নুরুল ইসলাম বিএসসির নিউ ইস্কাটন রোডের বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর স্ত্রীর চাপাচাপিতে তিনি ৫৭, সার্কুলার রোডে ৫ মাস আগে পৃথক বাসায় ওঠেন। এই বাড়িটি নুরুল ইসলাম বিএসসির পুরনো বাড়ি। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওবায়দুল। স্বামী বেঁচে থাকলে পরকীয়া চললেও রুবেলের সাথে বিয়ে সম্ভব নয়; তাই সোনিয়া নিজেই কৌশলে ওবায়দুলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। সে লক্ষ্যে টাকা জমিয়ে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রেমিক রুবেলের হাতে। রুবেল ওই টাকা দিয়ে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল সংগ্রহ করেন। একটি মোটরসাইকেল ধার নেন ভাগ্নে পাপ্পুর এক বন্ধুর কাছ থেকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে রুবেল তার আরও দুই ভাগ্নে তানভীর ও মিঠুর সহযোগিতা নেয়। মিঠুর দায়িত্ব ছিলো ওবায়দুল কোথায় যায়, কিভাবে যায় সেটা রেকি করে রুবেলকে জানানো। ঘটনার দিন রুবেল, পাপ্পু ও তানভীর মোটরসাইকেলে চড়ে কলাবাগান ভূতের গলির মাথায় অবস্থান নেয়। ওবায়দুল রিকশায় চড়ে বাসায় যাচ্ছে; মিঠু এমন খবর দেয়ার পর ১০৩, সার্কুলার রোডে (ভূতের গলি) ব্যারিকেড দেয় তারা। ঘটনাটিকে ছিনতাই সাজাতে পিস্তল ধরে বলে ‘যা আছে, দিয়ে দে।’ ওবায়দুল কোনো কথা না বলে ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন দিয়ে দেন। এরপরও রুবেল তানভীরকে উদ্দেশ করে বলে- শালারে গুলি করে দে। তানভীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ওবায়দুলকে একটি মাত্র গুলি করে মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলিটি কপালের এক ইঞ্চি ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত ওবায়দুলকে বহনকারী রিকশাচালক জাহাঙ্গীর দ্রুত তাকে কলাবাগান থানায় নিয়ে যান। থানার ওসি ইকবাল হোসেন মুমূর্ষু ওবায়দুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান ওবায়দুল।

ডিসি মাশরুকুর রহমান খালেদ আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া পাপ্পু, মিঠু ও তানভীর সম্পর্কে রুবেলের ভাগ্নে। তবে আপন নয়। মামার প্রেমিকাকে ফেরত পেতে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে রাজি হয়। ওবায়দুলকে খুন করার পর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে দুই বন্ধুর কাছে চলে যায়। পরে ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আত্মগোপন করে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। ওবায়দুলের লুণ্ঠিত মোবাইলফোনও উদ্ধার হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও ওবায়দুলের ল্যাপটপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো রুবেল ও পাপ্পুর কাছে আছে।

যেভাবে রহস্য উন্মোচন: প্রথমদিকে ধারণা ছিলো ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কিন্তু বিনা বাধায় মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ দিয়ে দেয়ার পরও কেন ওবায়দুলকে গুলি করা হলো তা নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে সন্দেহ জাগে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে মামলার তদন্ত শুরু হয়। চলে মোবাইল ট্র্যাকিং। সোনিয়ার মোবাইলফোন কললিস্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ রহস্য পাওয়া যায়। কলাবাগান থানা পুলিশ খুনের পর মোটরসাইকেলে চড়ে তিন যুবকের চলে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফুটেজটি ছিলো ঝাপসা। তাতে দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যে পলিথিন সামনে দিয়ে ওবায়দুলকে বহনকারী রিকশাটি থামিয়েছে একটি মোটরসাইকেল। পরে পুলিশ ভূতের গলির আরও একটি বাড়িতে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মোটরসাইকেলের নম্বর উদ্ধার করে। বসুন্ধরা সিটি থেকে প্রাপ্ত একটি ফুটেজে দেখা গেছে ওবায়দুল বের হওয়ার সময় ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ তাকে অনুসরণ করছে। ওই তরুণ অনবরত মোবাইলফোনে কথা বলছিলো। পুলিশ তাকে সন্দেহ করে এবং শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে চাঁদপুর থেকে আটক করে জানা যায় ওই তরুণের নাম মাহমুদুল হাসান মিঠু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে অজানা অনেক রহস্য। বেরিয়ে আসে রুবেল, তানভীর ও পাপ্পুর নাম। ডিবি তানভীরকে সম্প্রতি পাবনা থেকে গ্রেফতার করে। তানভীর ও মিঠুকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো পাপ্পু। ঘটনার পর থেকে রুবেল ও পাপ্পু আত্মগোপনে আছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা ওবায়দুলের স্ত্রী সোনিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানায়।

অস্ত্র কেনার টাকা দেন সোনিয়া: পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর জানিয়েছে, ওবায়দুলকে খুন করার জন্য অস্ত্র কেনার টাকা দিয়েছে তার স্ত্রী সোনিয়া। প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়। বাকি টাকা দিয়ে তিন ভাগ্নেকে নতুন সিমকার্ড কিনে দেয় রুবেল। তারা পুরনো সিম বদলে নতুন সিম ব্যবহার শুরু করে। তানভীরের দাবি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নয়; মামার ভালোবাসার মানুষকে তার কাছে ফিরিয়ে আনতেই তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই দীপক কুমার জানান, তানভীর চাঁদপুরে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ছিলো। পড়াশোনা করলেও অস্ত্র চালনার বিষয়ে তার দক্ষতা আছে।

বিয়ের সময় মিথ্যা বলেছিলেন সোনিয়া: সোনিয়ার সাথে যখন বিয়ের কথা পাকাপাকি হচ্ছিলো তখন বড় ভাই শেখ আহমদ তার ছোট ভাই ওবায়দুলকে বলেছিলেন, পাত্রীকে জিজ্ঞেস করে নিও অন্য কোনো ছেলের সাথে অ্যাফেয়ার বা প্রেমসম্পর্ক আছে কি-না। কারণ এ ধরনের সম্পর্ক থাকলে সেই বিয়ে টেকে না। পরে ঝামেলা হয়। বড় ভাইয়ের কথামতো হবুবধূকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসও করেছিলেন ওবায়দুল। উত্তরে সোনিয়া বলেছিলেন, তার সাথে কারও কোনো প্রেমসম্পর্ক নেই। এমন উত্তর পেয়েই শেষ পর্যন্ত পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওবায়দুল ও সোনিয়ার। সেদিন মিথ্যা বলেছিলেন সোনিয়া। শেষ পর্যন্ত যার বলি হলেন ওবায়দুল।

ওবায়দুলের বড় ভাই মামলার বাদী শেখ আহমদ বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, আমার ভাইটা যে কতো সহজ-সরল ও সাদামাটা ছিলো তা কল্পনাও করা যায় না। এমন একটা ছেলেকে তার স্ত্রীর পরিকল্পনাতেই খুন হতে হলো! ভালো না লাগলে সে চলে যেতে পারতো। আমার ভাইকে মারলো কেন। তিনি আরও বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ওবায়দুল। গত বছরের ৮ অক্টোবর সোনিয়ার সাথে তার বিয়ের কথা পাকা হয়। ৯ নভেম্বর হয় আকদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ের পর চট্টগ্রামের ষোলশহর দু নম্বর গেটে একটি বাসা নিয়ে ওঠে দুজন। কিন্তু চাকরির কারণে স্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল পাঁচ মাস আগে ঢাকায় চলে যায়। তিন মাস আগে তার মা শামসুন নুরকে ওই বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। শেখ আহমদ বলেন, সোনিয়া এই তিন মাসে আমার মাকে নানাভাবে অবহেলা-অবজ্ঞা করেছে। শাশুড়ি হিসেবে যে মর্যাদা দেয়ার কথা ছিলো তা দেয়নি। এমন আচরণ করেছে যাতে বাসা ছেড়ে আমার মা চলে আসেন।’ কিন্তু বউয়ের এসব আচরণ সম্পর্কে কিছু বললে ছেলে যদি মনে কষ্ট পায় সে কারণে মা সবকিছু সহ্য করেছেন। ওবায়দুল খুনের ঘটনায় সোনিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগের কথা শোনার পর আমরা বুঝতে পারলাম সোনিয়া আসলে অবাধ পরকীয়ার পথ উন্মুক্ত করতেই এমন আচরণ করত। শুধু তাই নয়; ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার নামে সকালে গিয়ে আবার বিকালে ফিরত বাসায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামেও বেশির ভাগ সময় একা আসা-যাওয়া করতো।

সোনিয়া লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার বাসিন্দা নুরুল আবছারের মেয়ে। নগরীর আলকরণ দোভাষ কলোনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তার পরিবার। সূত্র জানায়, ওবায়দুল হকের মৃত্যুর পর সোনিয়াও লাশের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন। চারদিন ওবায়দুল হকের খাজা রোডের বাসায় ছিলেন। এরপর তিনি চলে যান আলকরণে পিতার বাসায়। সর্বশেষ ঈদের আগে তিনি নগরীর প্রবর্ত্তক মোড়ে অবস্থিত ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। ঈদের পর দ্বিতীয় দফায় ভর্তি হন একই হাসপাতালে।

শেখ আহমদ ডিএমপি পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বুধবার রাতেই মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ করে সোনিয়ার খোঁজখবর রাখতে বলেন। সোনিয়ার হাসপাতালে থাকার বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। রাত ১২টার পর পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে আসেন। সাথে তিনিও ছিলেন। কিন্তু মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ধাওয়া করে লাভলেন এলাকা থেকে সোনিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় সোনিয়ার সাথে সিএনজি অটোরিকশায় তার মা ও ভাই দেলোয়ার হোসেন ছিলেন। রাতেই সোনিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। শেখ আহমদ বলেন, আমরা কল্পনাই করতে পারছি না যে একজন স্ত্রী হয়ে স্বামীকে এভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করানো হবে।

উল্লেখ্য, ২৬ জুন রাতে কলাবাগান থানার মাত্র ৩০০ গজের মধ্যে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ওবায়দুল হাসান। তার ৫৭, সার্কুলার রোড (ভূতের গলি) কলাবাগানের বাসার অদূরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।