পাচারকারীদের নৌকা থেকে উদ্ধারের মধ্যে আরও ফিরলো ১৫৫ বাংলাদেশি

স্টাফ রিপোর্টার: মিয়ানমারে বঙ্গোপসাগরের ঊপকূল থেকে দ্বিতীয় দফায় উদ্ধার ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫৫ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ প্রান্তে যৌথ সংবাদ ব্রিফিংয়ে মংডু ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক স নেইং দাবি করেন, পাচারকারীদের নৌকা থেকে উদ্ধার বাকিদের মধ্যে আরও ৩৭৯ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।

বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমএ মানিক রহমান এ সময় বলেন, যদি যাচাই-বাছাইয়ে তারা বাংলাদেশি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের অবশ্যই ফেরত আনা হবে। প্রেসব্রিফিং শেষে ১৫৫ জনকে ছয়টি বাসে করে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে তাদের মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় পাচারকারীদের ক্যাম্পে অভিবাসন প্রত্যাশীদের গণকবর নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি সাগরে একটি নৌকা থেকে ৭২৭ জনকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।

সে সময় নৌকার সবাই বাংলাদেশি বলে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পরে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা পরিচয় যাচাই-বাছাই করে ১৫৫ জনের জাতীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তাদের ফিরিয়ে আনতে বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বুধবার সকালে মিয়ানমারের মংডুতে যান।

সেখানে ঢেকিবুনিয়ায় বর্ডার গার্ড পুলিশ ক্যাম্পে দু দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছে ১৫৫ জনকে হস্তান্তর করা হয়। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করে দু দফায় ১৮৭ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।