স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামী খুন! স্ত্রী আটক

মেহেরপুরের মদনাডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জের

 

Pic-3

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা সদরের পুরাতন মদনাডাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আজিজুর রহমান খুন হয়েছেন। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শনিবার মধ্যরাতে সেলিনা খাতুন নিজ ঘরে আজিজুরের মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। নিহত আজিজুর ওই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন মদনাডাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আজিজুর রহমানের সাথে স্ত্রীর তেমন বনিবনা ছিলো না। প্রতিবেশী কারও সাথে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। এর জের ধরে পয়লা রমজানের দিন স্ত্রী সেলিনা খাতুন রাগ করে পিতার বাড়ি গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে চলে যায়। পারিবারিক সমঝোতায় শনিবার আবারো বাড়িতে ফিরে আসে স্ত্রী সেলিনা খাতুন। শনিবার মধ্যরাতে আজিজুরের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন তার বাড়িতে ছুটে আসেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। রাতেই তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু হয়। স্ত্রী লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন আজিজুরের পরিবারের লোকজন। স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেছে, মোবাইলফোনে চার্জ দিতে গিয়ে খাটের ওপর থেকে পড়ে যান আজিজুর। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে হত্যা করা হয়নি।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, স্বামী হত্যাকারী সন্দেহে স্ত্রী সেলিনাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবে পরিবার। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত শেষে বোঝা যাবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত আজিজুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ১২/১৪ বছর আগে তার সাথে ছাড়া ছাড়ি হয়। প্রথম স্ত্রীর সাথে সংসার জীবনে তিনি এক পুত্রসন্তান জন্ম দেন। দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা খাতুনের গর্ভে জন্ম নিয়েছে ২টি কন্যাসন্তান। এদিকে শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।