গাংনীতে স্বামী পরিত্যাক্তার কোলে নবজাতক : পিতার পরিচয়ে দিশেহারা মা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী শহরের থানা পাড়ার স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন। প্রেমের সম্পর্কের জেরে দেহভোগের ফসল হিসেবে শিশুটির জন্ম হলেও পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে থানা পাড়ার ইসমাইল হোসেন। শিশুটির মা দাবি করেছেন তার কন্যার পিতা ইসমাইল হোসেন। এ নিয়ে পাড়ার দুপক্ষ দু দিকে অবস্থান নিয়েছে।

কন্যাশিশুটির মায়ের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভনে একই পাড়ার হাফেজ মো. ইসমাইল হোসেন তার দেহভোগ করে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভপাত ঘটনানোর উদ্যোগ নেন ইসমাইল। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা ও আগত শিশুটির পিতৃপরিচয়ের দাবিতে অনড় ছিলেন ওই নারী। এর মধ্যেও বিভিন্নভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অপচেষ্টা করেন অভিযুক্ত ইসমাইল। কিন্তু ব্যর্থ হলে সম্প্রতি ওই নারীর কোলজুড়ে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় মুখরোচক আলোচনার ঝড় ওঠে। শিশুটির পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে অনড় থাকেন তার মা। কিন্তু দরিদ্র অসহায় পরিবার হওয়ায় তার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। এ নিয়ে পাড়ার দুটি পক্ষ দু দিকে অবস্থান নেয়। স্থানীয়ভাবে সালিস মীমাংসার উদ্যোগ নিলে ইসলাম হোসেন ওই নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন।

কন্যাশিশুর পিতার দাবি অস্বীকার করে ইসমাইল হোসেন জানান, অন্য কারো সন্তান হবে। সন্তানটি তার নয়। এদিকে ওই নারী আরো অভিযোগ করে বলেন, শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগের দিনও ইসমাইল তাকে নিয়ে গাংনী মিনি ক্লিনিকে যায়। সেখানে গর্ভপাতের চেষ্টা ব্যর্থ হলে বাড়িতে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে ইসলাম হোসেন তার মোবাইলে কয়েকবার কথা বলেছেন। যা ওই নারীর মোবাইলের কললিষ্টে রিভিস ফাইলে পাওয়া গেছে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে অনড় রয়েছেন শিশুটির মা। তাকে সহযোগিতার জন্য সমাজের সকলের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।