গাংনীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সদস্যর নামে মামলা

 

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনীর চিৎলা গ্রামে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বানিয়ারা বিনা নামের এক মেয়ে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনা মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও খুলনা আরআরএফ সদর দপ্তরে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে মিথ্যা অভিযোগ করে রাজু আহম্মেদকে হয়রানি করছে বলে গ্রামের অনেকেই মতামত ব্যক্ত করলেও বিনার পরিবার বলেছে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে রাজু।

রাজুর পিতা হাবিবুর রহমান জানান, রাজু আহমেদ একজন পুলিশ কনস্টেবল এবং খুলনা আরআরএফ সদর দপ্তরে কর্মরত। সম্প্রতি প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান খান তার মেয়ে বানিয়ারা খাতুন বিনার সাথে রাজুর বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নানা কুটকৌশল আঁটে আব্দুল মান্নান ও তার পরিবার। অবশেষে রাজুর কর্মস্থল খুলনা ও মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করে বিনা।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে যে, রাজু বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিনার চরম সম্পদ লুট করে ও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে কৌশলে স্থানীয় মিনি ক্লিনিকে নিয়ে বাচ্চা অপসারণ করানো হয়। সে সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও এমকে রেজার কাছে চিকিৎসা নেয়া হয়। রাজুর পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, রাজুর সাথে কোনো দিন বিনার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। বাচ্চা অপসারণ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া গাংনী শহরে মিনি ক্লিনিক নামের কোনো ক্লিনিকের অস্তিত্ব নেই।

গ্রামের সাবেক মেম্বার গোলাম আম্বিয়া জানান, বিনা নামের মেয়েটি অহেতুক মামলা করেছে রাজুর নামে। রাজু এমন প্রকৃতির ছেলে নয়। বিয়ে করতে না পারায় এমন অভিযোগ করা মেয়েটির উচিত হয়নি। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাজু এমন কাজ করতে পারে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া যদি এমন কোনো ঘটনা হয় তাহলে একজন চেয়ারম্যান হিসেবে তাদের প্রথমে আমার কাছে আসা উচিত ছিলো। কিন্তু তারা তা না করে বাইরে বাইরে বিচার চাইছে। এতে সবারই মনে সন্দেহ হচ্ছে ঘটনাটি হয়তো সাজানো।