চোরাচালানী-বিজিবি সংঘর্ষে নিহত ২

দিনাজপুরের বিরামপুরে চোরাচালানী পণ্য আটক

 

স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরের বিরামপুরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চোরাচালানী পণ্য আটককে কেন্দ্র করে চোরাচালানীদের সাথে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবির ছোঁড়া গুলিতে হোটেল ব্যবসায়ী বিরামপুর স্টেশন সংলগ্ন কলোনীপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে মো. শাহিন (২৫) ও দোকান কর্মচারী আব্দুর রশিদের ছেলে মো. সুলতান (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী নিহত দুজনের লাশ বিরামপুর-ফুলবাড়ি মহাসড়কে রেখে সড়কের ওপর গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে। বর্তমানে গোটা বিরামপুর শহরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

002_146731

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় হিলি থেকে একটি মালবাহী ট্রেন বিরামপুর স্টেশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের হুস পাইপ খুলে ট্রেনটির গতিরোধ করে ট্রেন থেকে চোরাকারবারীরা চোরাচালানী পণ্য নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ফুলবাড়ি ২৯ বিজিবির অধীন বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে কিছু পণ্য জব্দ করেন। এ সময় স্টেশন সংলগ্ন কলোনীপাড়ায় চোরাকারবারী ও এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন বিজিবি সদস্য আহত হলে পরিস্থিতি সামাল ও চোরাকারবারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোঁড়েন।

কলোনী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিজিবি সদস্যরা ট্রেন থেকে নেমে আসা ভারতীয় জিরা বহনকারী কয়েকজন নারী চোরাকারবারীকে মারপিট করলে বিজিবির সাথে এলাকাবাসীর ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিনা উসকানিতে বিজিবি গুলি ছোঁড়লে কলোনী এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. শাহিন (২৫) ও কর্মচারী মো. সুলতান (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। নিহত দুজন সম্পর্কে ভায়রা। বিজিবির গুলিতে দুজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বিরামপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

বিজিবি ফুলবাড়ি ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কোরবান আলী বলেন, চোরাচালানী পণ্য জব্দ করার সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালালে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়তে বাধ্য হয়েছে।