আবদার রক্ষার্থে পরীক্ষা স্থগিত করে ইবি বন্ধের সিদ্ধান্ত

 

ইবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। আগামী ৫ জুলাই থেকে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা থাকলেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার সোমবার নিজ ক্ষমতাবলে ৩ জুলাই থেকে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইকবাল হোছাইন বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছিলো ৫ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত হল খোলা থাকবে। যেহেতু ৩ জুলাই শুক্রবার ও পরে শুধু একদিন অফিস করার সময় পাওয়া যাচ্ছে তাই উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে একদিন এগিয়ে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে ফোনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার তার সিদ্ধান্তের কথা তাকে জানান বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই সকাল ১০টায় হল খুলে দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ জুলাই হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ (২য় সেমিস্টার), ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্স, আইন বিভাগের প্রথম বর্ষ ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স এবং ৫ জুলাই বাংলা ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ৩ জুলাই থেকে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে আগামী ৪ ও ৫ জুলাইয়ের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাবে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ৩ জুলাই শুক্রবার হচ্ছে। এছাড়া সকলের আবদার ছিলো যেন একদিন আগে থেকেই ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই সকলের আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে ও অর্পিত নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষাগুলো ক্যাম্পাস খোলার পরে নেয়া হবে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ৩ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি হবার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান সেশনজট কমাতে তা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। একই কারণে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি কমিয়ে আনা হয়। ১৪ জুন থেকে রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবার কথা ছিলো।