আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় বিয়ে না করে ৪ বছরের সংসার : চাপের মুখে বিয়ে করেও বিয়ের কথা অস্বীকার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা আবাসনের বিলকিসের সাথে দীর্ঘ ৪ বছর সংসার করে নিমতলার হালিম। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর চাপের মুখে বিয়ে করে বিয়ের কথা অস্বীকার করেছে। এ অভিযোগ করে বিলকিস বলেছেন, গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে ওষুধ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিকের মেয়ে বিলকিসের (৩৫) সাথে বিয়ে হয় জেহালা ইউনিয়নের মাদারহুদার আহাদের । তাদের দীর্ঘ সংসার জীবনে ৩টি সন্তান আছে। এরই এক পর্যায়ে বড় গাংনী ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামের আমির হামজার ছেলে হালিমের (৩৮) সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিলকিস। প্রায় ৪ বছর আগে বিলকিস স্বামী-সন্তান ফেলে হালিমের হাত ধরে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। প্রথমে চুয়াডাঙ্গার একটি ভাড়াবাসায় তারা বসবাস শুরু করে। আড়াই বছর পর কুষ্টিয়ায় বসবাস শুরু করে তারা। বিলকিস অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। অপর দিকে হালিম সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। বিয়ে করলে সন্তান নষ্ট করবে বলে জানালে গত বছর ২২ অক্টোবর বাড়াদী ইউনিয়নের এমএমআর ও কাজী অফিস থেকে বিয়ের কাবিন করে। বিয়ের সাক্ষী হয় চিৎলা গ্রামের মোন্তাজের ছেলে আশাদুল ও আঠারখাদা গ্রামের শাহিন আলম। হালিমের প্ররোচনায় সন্তান নষ্ট করে সে। বিয়ের কয়েক মাস পর আবারো পেটে সন্তান এলে শিবপুর গ্রামে বিলকিসকে রেখে হালিম উধাও হয়ে যায়। স্ত্রীর অধিকার নিয়ে হালিমের বাড়িতে গিয়ে উঠলে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে তার পরিবারের লোকজন। হালিমও বিয়ের কথা অস্বীকার করে। উপায় না পেয়ে নতিডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৯নং শেডের ৫নং রুমে আশ্রয় নেয় সে। হালিম গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছে তার কাছে। এ ব্যাপারে বিলকিস বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

বিলকিস অভিযোগ করে আরো জানায়, বিয়ের প্রলোভনে ৪ বছর বিভিন্ন এলাকায় রেখে হালিম দেহভোগ করেছে। কয়েকবার পেটে সন্তান এলে তারই প্ররোচনায় নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছি। গত ৯ মাস আগে আবারো সন্তান নষ্ট করতে চাইলে সন্তান নষ্ট করবো না জানালে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বিয়ের পর সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হয় সে। বিয়ের কাবিনে হালিম নামের পরিবর্তে ছলিম লিখে স্বাক্ষর করেছে সে। থানায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। অপর দিকে হালিম ও তার লোকজন হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকায় রফার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছে অসহায় বিলকিস।