স্টাফ রিপোর্টার: পুরুষ দালালের পর এবার আমেনা নামের এক মহিলা দালালের খপ্পরে পড়ে পানিপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের উজলপুর গ্রামের দু যুবক মাহাম্মদ আলী ও খোকন রয়েছে নিরুদ্দেশ। তাদের সন্ধান না পেয়ে পরিবারে চলছে চাপাকান্না। মহিলা দালাল আমেনাসহ ছোটসলুয়া গ্রামের মানবপাচারকারী দালালদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটসলুয়া গ্রামের আকুবারের স্ত্রী আমেনা বেগম মোটা অঙ্কের বেতনের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ৪ মাস আগে পানিপথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর মাঠপাড়ার নূর ইসলাম পাইকের ছেলে মাহাম্মদ আলী (৩২) ও হালিম ব্যাপারীর ছেলে খোকন ব্যাপারীকে (২৭)। মাহাম্মদ ও খোকনের পরিবার থেকে জানানো হয়, আমেনা কয়েক দিন বাড়িতে এসে বলে মালয়েশিয়ায় মানুষ নেয়া আমার হাতের মুয়া। আমার হাত দিয়ে বেশ কিছু লোক পানিপথে মালয়েশিয়ায় গিয়ে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকুরি করছে। আমিই এলাকার দালালদের প্রধান। সবাই আমার মাধ্যমে লোক পাঠায়। পানিপথে ৭ দিনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছিয়ে দিয়ে টাকা নেবো। এর আগে একটি টাকাও লাগবে না। কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে পরবর্তীতে পরিবারের নিকট ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতে। ওই দু যুবকের পরিবারের নিকট থেকে আমেনা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গত ৪ মাস অতিবাহিত হলেও মহাম্মদ আর খোকানের ভাগ্যে কী ঘটেছে কিছুই বলতে পারছে না পরিবারের লোকজন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, ছোটসলুয়া গ্রামের বিপুলের পর আমেনা, নূর ইসলামের ছেলে লাল্টু, তৈয়ব ঘোষের ছেলে রেজাউল, আদম আলীর ছেলে মমিনকেসহ পানিপথে বেশকিছু লোকের মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে ধনী হবার স্বপ্ন দেখিয়েছে। আজ সেসব পরিবারে চলছে চাপাকান্না। ছোটসলুয়া গ্রামের এসব দালালদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তোভোগীরা। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, পানিপথে মানবপাচারকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে শিগগিরই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।