জীবননগরে ইফতার সেহরি ও তারাবিতে ধারাবাহিক লোডশেডিং

জীবননগর ব্যুরো: পবিত্র রমজান মাস শুরুর পর থেকে এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ইফতার, সেহরি ও তারাবির নামাজের সময় ধারাবাহিক লোডশেডিং বিদ্যুত বিভাগের নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোডশেডিঙের কারণে তীব্র গরমের মধ্যে রোজাদারদের অত্যান্ত কষ্টকরভাবে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের ধারাবাহিক এ লোডশেডিঙে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এ উপজেলার বিদ্যুত গ্রাহকেরা। দাবি উঠেছে রোজার মাসে নিরিবিচ্ছন্নভাবে বিদ্যুত সরবরাহের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পিকআওয়ার। এ সময় বিদ্যুতের প্রয়োজন ৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অফপিক-আওয়ারে প্রয়োজন হয় ২ দশমিক ২৫ মেগাওয়াট। মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরস্থ গ্রিডে পিক-আওয়ারে বিদ্যুতের প্রয়োজন ৩৬ মেগাওয়াট। সেখানে গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত। ফলে পিকআওয়ারে ধারাবাহিকভাবে ৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিদিন শহরে ইফতারের পর তারাবির নামাজে ও গ্রাম এলাকায় ইফতার ও সেহরিতে বিদ্যুতের লোডশেডিং করাতে রোজাদার মুসল্লিসহ বিদ্যুত গ্রাহকবৃন্দ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

ইফতার, সেহরি ও তারাবির নামাজের সময় ধারাবাহিক লোডশেডিঙের বিষয়ে জানার জন্য মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির চুয়াডাঙ্গাস্থ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান খানের মতামত জানতে গতকাল মঙ্গলবার তার মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়; কিন্তু তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।