স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো ও ঢাকা ফেরত মানুষের সুবিধার জন্য ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন মহাসড়কে সকল প্রকার ট্রাক-লরি, নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও টেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাপণ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও পোশাক শিল্পের পণ্য বহণকারী ট্রাক বা লরি চলাচল করতে পারবে। একই সাথে ঈদে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আগামী ১০ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই বাংলাদেশের সব সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিকালে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ঈদের সময় একই দিনে সকল গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরি ছুটি দেয়া ও খোলা যাবে না। যানজট ও মানুষের চাপ কমাতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে গার্মেন্টসগুলোকে ছুটি দেয়া ও খোলার জন্য এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে ঘরমুখো ও ঢাকা ফেরত মানুষের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা দাবি করতে যেন না পারে সেজন্য ঢাকা মহানগরীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালের জন্য পৃথক তিনটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হবে। বৈঠকে মগবাজার ফ্লাইওভারের কাজ ঈদের আগের সাত দিন ও পরের তিন দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাসির, পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, ৱ্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।