আইন মেনে ব্যবসা না করলে উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা

চুয়াডাঙ্গায় বাজার মনিটরিং টিমের পরিদর্শন : প্রথম দিনে করা হলো সতর্ক

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাজার দর মনিটরিং টিম চুয়াডাঙ্গার বাজারে ঢুকতেই বদলে গেলো মূল্য হাকার ধরন। যে শসার দাম হাকা হচ্ছিলো ৬০ টাকা, সেই শশা মনিটরিং দলের সামনে হয়ে গেলো ২০ টাকা। মনিটরিং টিম বাজার থেকে বের হওয়ার পর পরই পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে বেগুনের দামও।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং টিম গতকাল রোববার সাড়ে ১০টার দিকে বড়বাজার পুরাতন গলিতে প্রবেশ করে। মুদিদোকানসহ বিভিন্ন দোকানের মূল্য তালিকা লাগানো আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণের সাথে সাথে সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, মূল্য তালিকা অস্পষ্ট থাকলে চলবে না। মূল্য তালিকা প্রতিদিন নতুন করে লিখতে হবে। তালিকার সাথে দ্রব্য বিক্রির দামে হেরফের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেরিঘাট রোডের মুদিদোকান পরিদর্শন শেষে নিচের বাজারের কাঁচামালের আড়ৎপট্টিতে বাজার মনিটরিং টিম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। শসা, বেগুন, পেঁয়াজ, আদাসহ বিভিন্ন তরিতরকারির মূল্য জানতে চান। মনিটরিঙের প্রথম দিনে আইনগত ব্যবস্থা নয়, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতেই মনিটরিং দল বাজার পরিদর্শনে বলেও জানানো হয়। মাছ, মাংসের বাজারসহ কাঁচাবাজার এবং নিচের বাজারের মুদিদোকানগুলোর বেশ কিছু দোকানির সাথেও ও মনিটরিং দল কথা বলে নিয়ম মেনে ব্যবসা করার আহ্বান জানান।

বাজার মনিটরিং দলে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম, সাব্বির রহমান সানি, জেলা মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রহিম, ড্রাগ সুপার এসএম সুলতানুর আরেফিন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. সাইদুর রহমান, চেম্বার পরিচালক শাহারিয়ার মালিক, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, নিচের বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপনসসহ সংশ্লিষ্টরা।

বাজার মনিটরিং টিম বাজারে প্রবেশের পূর্বে এবং পরে কাঁচাবাজারে বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন তরকারির মূল্যচিত্র বদলে যায় বলে ভোক্তা সাধারণের অনেকেই জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, যে বেগুনের দাম সকাল ১০টার আগে ছিলো ৭০-৮০ টাকা। সেই বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় নেমে আসে যখন মনিটরিং দল দোকানিদের সামনে। শসার দামেও হয় হেরফের। বাজার মনিটরিং দল বাজার পরিদর্শন শেষে ফেরার সাথে আবারও আগের দরেই ফেরে বেগুন, শসা, পেঁয়াজ কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ ছোঁয়া তরকারি।