হাকিম ফিরলেও গাফফারের হদিস না মেলায় অপহরণ রহস্য ঘনীভূত

আলমডাঙ্গার আইলহাস ও রায় লক্ষ্মীপুরের অপহৃত দুজনকে নিয়ে নানা গুঞ্জন : ধন্ধে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা আইলহাসের স্কুলছাত্র হাকিম ও তার মামাতো ভগ্নিপতি রায়লক্ষ্মীপুরের গাফফার অপহরণ নিয়ে পুলিশ ধন্ধে পড়েছে। ৮ম শ্রেণির ছাত্র হাকিমকে মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তার নিকটজনেরা জানালেও গাফফার উদ্ধার না হওয়ায় আভ্যন্তরীণ কোন্দলে নানা প্রশ্ন দানা বেধেছে।
গাফফারের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছে তা নিশ্চিত হতে না পারলেও অপহরণ রহস্যের জট খুলতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে হাকিম ও তার গ্রামের বিস্কুট এবং পিয়ারকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলছিলো।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র হাকিম ও তার মামাতো ভগ্নিপতি পার্শ্ববর্তী রায়লক্ষ্মীপুরের গাফফার গত ১১ জুন অপহৃত হয়। পরিবারের সদস্যদের নিকট মুক্তিপণও দাবি করে বলে এলাকায় জোর গুঞ্জন প্রচার পায়। দরকষাকষির এক পর্যায়ে দুজনের পরিবারের তরফে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা গচ্ছিত করে সরোজগঞ্জে এক ব্যক্তির মাধ্যমে প্রদান করা হলে হাকিম মুক্ত হয়। গত ১৬ জুন মুক্ত হয়ে হাকিম বাড়ি ফেরে। গাফফারের হদিস না মিললে হাকিমসহ তার গ্রামের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাধে। রহস্যঘনীভূত হয়। সূত্র বলেছে, গাফফারের সন্ধান না পেয়ে তার পিতা ইসমাইল হোসেন পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বেশ কিছু তথ্যও দেন পুলিশকে। এরই ভিত্তিতে সদর থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়। শুরু হয় তদন্ত। তবে গতকাল পর্যন্ত গাফফারের যেমন হদিস মেলেনি, তেমনই অপহরণ রহস্যের জট খোলেনি। নানা গুঞ্জন অভিযোগে পুলিশ পড়েছে ধন্ধে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশসূত্র অপহরণ ও উদ্ধারের আড়ালে রহস্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে, আইলহাসের আকালের ছেলে বিস্কুট, ফরজেলের ছেলে পিয়ার আলীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাকিমকেও থানায় নিয়ে অপহরণের ঘটনাটি সাজানো নাটক নাকি আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে তা জানার চেষ্টা চলছে।