চতুর্থ দিনও ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে

স্টাফ রিপোর্টার: দিনটা শুরু হয়েছিলো দারুণভাবেই। আবহাওয়ায় ছিলো রোদেলা পরশ। বৃষ্টির চোখ-রাঙানি ছাপিয়ে একটি ক্রিকেটময় দিনেরই প্রত্যাশা ছিলো সকলের। মাঠেও গড়িয়েছিলো খেলা। কিন্তু ৩০.১ ওভার পরেই পাততারি গোটাতে হল খেলার। ফতুল্লার আকাশ কালো মেঘ ছেয়ে আর একটি দিন খরচ হয়ে গেল বৃষ্টির খাতায়। আগের দিনের ৪৬২ রানেই ইনিংস ঘোষণা করেছিলো ভারত। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির আগ পর্যন্ত তুলতে পেরেছে ১১১ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা টাইগাররা এখনো পিছিয়ে ৩৫১ রানে। তবে চতুর্থ দিন পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পর রানের এ ঘাটতি খুব একটা প্রভাব তৈরি করছে না। ফতুল্লায় বৃষ্টির যে দাপট, তাতে এ টেস্ট নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টির আগে ইমরুল লড়েছেন একাই। তিনি তার তৃতীয় টেস্ট ফিফটিটি তুলে নিয়েছেন দারুণ ঢংয়েই। ৫৯ করতে ইমরুল বল খেলেছেন ৯৮টি। ১০টি চারে সাজানো এ ইনিংসটিই গতকালকের অসম্পূর্ণ চতুর্থ দিনের মূল আকর্ষণ হয়ে থাকছে। ভারতের পক্ষে গতকাল বাংলাদেশকে চোখ রাঙিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উইকেটে তিনি পাচ্ছিলেন দারুণ বাঁক। সেট হয়ে উঠতে না উঠতেই তামিম ইকবালকে তিনি ফেরান উইকটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার সহায়তায়, স্টাম্পড করে। ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে তামিম গতকাল নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। টেস্টের রানের মালিক হিসেবে তিনি ছাপিয়ে গেছেন আর সবাইকেই। অশ্বিনের বলে ফিরেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তামিমের বিদায়ের পর মুমিনুল দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন ইমরুলকে। তিনি ৩০ রান করে আউট হয়েছেন খুব বাজেভাবে। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় উইকেট থ্রো যাকে বলে মুমিনুল গতকাল সেটাই করেছেন। ৮৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া হরভজন সিং তার ওপর খুশি হতেই পারেন। আউটের ধরনটি যে হরভজনের প্রতি তার দেয়া ‘উপহার’ই মনে হয়েছে।