একাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর : পিতা-পুত্র জখম

চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি উত্তপ্ত : পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুজনকে কুপিয়ে জখমের প্রতিশোধ?

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি মোড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গতপরশু দুপুরে দুজনকে কুপিয়ে জখমের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলেছে একের পর এক হামলার ঘটনা। সাতগাড়ির সোহরাব হোসেন ও তার ছেলে সুলতানকে বড়বাজার নিচের বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পেয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এছাড়া সাতগাড়ির কয়েকটি দোকানসহ ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গতপরশু দুপুরে দুজনকে কুপিয়ে জখমের পর থেকেই সাতগাড়ি মোড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। এরই এক পর্যায়ে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতগাড়ির ফজলুর রহমানের ছেলে কাজলের দোকান ভাঙচুর করা হয়। আতিয়ার রহমানের ছেলে তুষার ও সামাদের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। সাতগাড়ি হিজড়াপাড়ার মৃত আল আমিনের ছেলে মিনারের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে কাজল অভিযোগ করে বলেছেন, তার বিকাশ দোকানে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ছিলো। সেটাও ছিনতাই হয়েছে হামলার সময়। এদিকে সাতগাড়ির মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে সোহরাব চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার নিচের কাঁচাবাজারে ব্যবসা করেন। তার ছেলে সুলতান পিতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলো। ৬/৭টি মোটরসাইকেলে ১০/১৫ জনের একদল যুবক মোহাম্মদী বাণিজ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানে সুলতানের ওপর চড়াও হয়। তার পিতা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মারপিটে পিতা-পুত্র দুজনই গুরুতর আহত হন। দুজনকেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবশ্য হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন রাখা হয় বলে একাধিকসূত্র জানায়। আহত পিতা-পুত্র বলেছেন, হামলাকারীদের মধ্যে সাতগাড়ির উজ্জ্বল ও কাজলকে চেনা গেছে। হামলার সময় ক্যাশবাক্সে থাকা টাকাও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেন সোহরাব হোসেন।

উল্লেখ্য, গতপরশু বুধবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে এজাজ ও বাগানপাড়ার শাহ আলমের ছেলে শাহীন সাতগাড়ি মোড়ে গেলে হামলার শিকার হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এজাজের মাথায় কোপ লাগায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর ওই দিনই রেফার করা হয় ঢাকায়। পরশু রাতে ঢাকায় সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ চিকিৎসা দেয়া হয়। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার জানান, এজাজ ও শাহীন যুবলীগ কর্মী। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের রেদওয়ান আহাম্মেদ জানায়, এজাজসহ তার লোকজন সাতগাড়ি মোড়ে আপত্তিকর বাণিজ্য করে। এ কারণে প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা চড়াও হলে জনগণই মারধর করে।