জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে মামলা

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচনে নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার-১ (এক) আলতাফ হোসেন ডেপুটি কমান্ডার-১ হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পেতে এবং এসআর অ্যাক্টের ৫৫ ধারাসহ অর্ডার ৩৯ রুল ২ (১) ও দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারামতে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে মেহেরপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী আলতাফ হোসেন ডেপুটি কমান্ডার-১ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদকে মামলায় বিবাদী করেছেন।

বাদীর দরখাস্তে জানা যায়, গত বছরের ৪ জুন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে তিনি সর্বাধিক ভোট পেয়ে ডেপুটি কমান্ডার-১ (এক) নির্বাচিত হন। যা ওই বছরের ১৭ জুন বাংলাদেশ গেজেটে (অতিরিক্ত) প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনতন্ত্রের ১৬ (খ) ধারা মতে কমান্ডারের অনুপস্থিতিতে ক্রমিকমান অনুসারে ডেপুটি কমান্ডার-১ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন ও কমান্ডারের অনুমতিতে তিনি সভা আহ্বান করবেন এবং সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ কার্যকরী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গঠনতন্ত্রের ১৬ (খ) ধারা মতে সহকারী কমান্ডারগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন কমান্ডের সভায় গৃহীত বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন।

বাদী আলতাফ হোসেন ডেপুটি কমান্ডার-১ আরো বলেন- কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্দেশ থাকা সত্বেও বিবাদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১৩ জন সদস্যের অজ্ঞাতে ডেপুটি কমান্ডার-২ ও সহকমান্ডারকে (সাংগঠনিক) সাথে নিয়ে গঠনতন্ত্রের ১৬ (খ) ধারা মতে তাকে (আলতাফ হোসেন) কাজ করতে দিচ্ছেন না। বরং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে তাকে বঞ্চিত করার গঠনতন্ত্রের পরিপন্থীভাবে চলতি বছরের ২১ মার্চ ডেপুটি কমান্ডারকে-২ দিয়ে জরুরী সভা করেন। বাদী আলতাফ হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার-১ তাকে দায়িত্ব না দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ এবং ডেপুটি কমান্ডার-২ ও সহকমান্ডার (সাংগঠনিক) তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এছাড়া গঠনতন্ত্রের ১৬ (খ) ধারা মতে কোনো দায়িত্ব পালন করতে দিবেনা বলে ও প্রয়োজনে তাকে দায়িত্বের বাইরে রাখবেন। এমনকি সংগঠন থেকে অবাঞ্চিত করা ঘোষণা দেবেন এবং তাকে মানষিক, শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করবেন মর্মে গালিগালাজ করেন।

বাদী তার আবেদনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০০৯ সালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের বিভিন্ন খাত থেকে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ১৪২ টাকা আত্মসাৎ করেন। যে কারণে তিনি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম আবু কাশেমের দায়ের করা মামলায় তিনি হাজত বাস করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।