চুয়াডাঙ্গায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক সেমিনারে জেলা প্রশাসক

1441,0,0,0,256,272,590,1,0,73,51,0,0,100

নিজের দায়বদ্ধতা থেকে কর প্রদান করা দেশপ্রেমীক নাগরিকের উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ

 

স্টাফরিপোর্টার: সামর্থ্যবান সকলকেই তার নিজের দায়বদ্ধতা থেকে কর প্রদান করা দেশপ্রেমিক নাগরিকের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ বৈদেশিক লোন দিয়ে নয় করদাতাদের অর্থ দিয়েই কিন্তু দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। বর্তমান সরকারের ২০০৯ সালের নির্বাচনী ওয়াদায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তা আজ আর স্বপ্ন নয়, ক্রমান্বয়ে বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। এ ধারাবাহিকতায় কারো দারস্থ নয় অনলাইনের মাধ্যমেই কর দেয়ার ব্যবস্থা অচিরেই চালু হয়ে যাবে। সাধারণ ভোক্তারা দ্রব্য সামগ্রী ক্রয়ের সময় ভ্যাট প্রদান করে থাকে। কিন্তু বিক্রেতা হিসেবে ওই ভ্যাট যথোপযুক্তভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। এ জন্যই অনলাইনে ডিজিটাল সিস্টেমে কর প্রদান সময়ের দাবি হিসেবে দেখা দিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হবে। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সেমিনারের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগ, চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগ, চুয়াডাঙ্গার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাজমুল হক শিমুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক বর্ডারগার্ড-৬ ব্যাটালিয়নের নিয়ামত উল্লাহ, অতিরিক্ত কমিশনার কাস্টমস হাউজ বেনাপোল এবিএম শফিকুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট যশোর অরুন কুমার বিশ্বাস ও চুয়াডাঙ্গা শিল্প-বণিক সমিতির পরিচালক ইঞ্জিনিয়র নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার। এছাড়া উদ্বুদ্ধকরণ সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলার করদাতাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শ্যামলী ইসলাম।