সেচ বৃদ্ধির পাশাপাশি পোকা দমনে নজরদারির পরামর্শ

দামুড়হুদায় প্রচণ্ড খরতাপে মাঠের অধিকাংশ পাটেই দেখা দিয়েছে পোকার আক্রম

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদায় প্রচণ্ড খরতাপে মাঠের অধিকাংশ জমির পাট ঝিমিয়ে পড়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ পাটগাছেই দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। ফলে পাটের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাটচাষিরা। যে সমস্ত পাটক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশি দেখা দিয়েছে সে সমস্ত জমিতে সেচ বৃদ্ধির পাশাপাশি পোকা দমনে বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাগণ।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় মোট পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর। এর মধ্যে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ১ হাজার, হাউলী ইউনিয়নে ১ হাজার ১৩০, জুড়ানপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ১৬০, নতিপোতা ও নাটুদাহ ইউনিয়নে ১ হাজার ২৭০, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ৯৭০, কুড়ুলগাছি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে ১ হাজার ২২০ এবং দর্শনা পৌর এলাকায় ৩শ হেক্টর জমিতে পাটচাষ করা হয়েছে। দামুড়হুদার জয়রামপুরের পাটচাষি আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি মরসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন। প্রচণ্ড খরতাপে পাটগাছের পাতা ঝিমড়ে পড়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেতেই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে যে পরিমাণ উৎপাদন আশা করেছিলাম তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। পুরাতন হাউলী গ্রামের পাটচাষি আ. রহিম বলেন, খরতাপের কারণে পাট বাড়ছে না এবং কিটকিটে পাতা পোড়াভাব লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকার বেশির ভাগ চাষিই নাইন এইট নাইন সেভেন তোষা ও সেভেনটি টু এবং ইন্ডিয়ান ভ্যারাইটি জাতের মধ্যে কৃষাণ মার্কা, চাকা মার্কা, জোড়া বলদ, নবীন এ সমস্ত জাতের পাট আবাদ করে থাকে। এরমধ্যে ও নাইন এইট নাইন সেভেন তোষা জাতের পাট সবচেয়ে ভালো হয়। এর উৎপাদনও বেশি হয় এবং পাটকাঠিও হয় বেশ মোটা সাইজের। তবে এবার পোকার আক্রমণ বেশি হওয়ায় পাট বেশি মোটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, খরতাপের কারণে পাটের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফলে উৎপাদনও কমে যায়। এ অবস্থায় জমিতে সেচ ব্যবস্থাপনা জোরদার করার পাশাপাশি পোকা দমনে মাকড়নাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া খরতাপ কম না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পাটক্ষেতে বিশেষ নজরদারি করতে হবে।