সমাজের প্রতি সকলের দায়িত্ববোধ দরকার

 

নিজের বা নিজেদের কাজটা করা হলেই হলো মানসিকতা আর যাই হোক সমাজের জন্য কল্যাণকর নয়। এ কারণেই নিজের অধিকার ভোগের পরিধি অতোটুকুই সীমাবদ্ধ যতোটুকুর বাইরে গেলে অন্যের অধিকার খর্ব হয়। পুকুর খননের মাটি স্থানান্তরই হোক, আর ইটভাটার কাজে মাটি আনা-নেয়ার কাজেই হোক, তা যদি পিচঢালা রাজপথে পড়ে মারণফাঁদে রূপান্তর হয় তা হলে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববোধ নিয়েই শুধু প্রশ্ন ওঠে না, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটিও প্রাসঙ্গিকতা পায়।

চুয়াডাঙ্গা-যশোর সড়কের দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ কলেজের নিকট রাস্তার ওপর মাটি পড়ে মারণফাঁদে রূপান্তর হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পার্শ্ববর্তী স্থানে খনন করা পুকুরের মাটি স্থানান্তর করার সময় তা রাস্তায় পড়ে। তাতে পানি পড়তেই পিচ্ছিল হয়, ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাত্র কয়েক মিনিটেই অসংখ্য মোটরসাইকেল আরোহীসহ প্রায় সকল প্রকারের যানবাহনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আহত হওয়ার সংখ্যাও অনেক। পিচঢালা রাজপথকে মৃত্যুকুপে রূপান্তর করার দায় শুধু মাটি স্থানান্তর করা ব্যক্তিদেরই নয়, আইন প্রয়োগকারীদেরও। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তলানিতে ঠেকে। পুকুর খননের মাটিই শুধু নয়, রাস্তার অদূরে গড়ে তোলা ইটভাটাগুলোর কোনো কোনোটির মাটিও সড়কে পড়ে মারণফাঁদে রূপ নেয়।

সড়ক নিরাপদ করতে মাটি অপসারণের দাবি উঠেছে। এ দাবির প্রতি যেমন দায়ীদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার, তেমনই প্রশাসনিক পদক্ষেপও প্রয়োজন। তা না হলে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করার প্রবণতা পেয়ে বসবে। সড়কে ইচ্ছে করে মাটি ফেলা হয়নি, স্থানান্তর করতে গিয়ে পড়েছে- এ কথা বলে দায় এড়ানো যায় না। মাটি পড়ে সড়ক কতোটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা বুঝতে না পারাকে অবশ্যই অসচেতনতা বলে। সমাজের প্রতি সকলের সচেতনতা তথা দায়িত্ববোধ কাম্য।