রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না : সিপিডি

 

স্টাফ রিপোর্টার: এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিজেদের এ মূল্যায়ন তুলে ধরে সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থাটির দাবি, বাজেটে আর্থিক কাঠামোর গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ এবং এ বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কোনো স্বচ্ছ পরিকল্পনা নেই। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে ব্যয়ের যে আকার ধরা হয়েছে, তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু বিশাল বাজেট ব্যয়ের অর্থসংস্থানে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা যেটা দেওয়া হয়েছে, তার একটা বড় পরিমাণ অনর্জিত থাকবে। দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে এখন দেশজ আয় ১০-১১ শতাংশ। সেখানে তানজানিয়ার মতো দেশের ১৭-১৮ শতাংশ। আপনার তো দেশজ আয় শতকরা হিসাবে বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমরা তো চাই, পদক্ষেপগুলোর সুফল নিয়ে আসুক। তাহলে অর্থমন্ত্রী কেন বলেন না, কোনো পদক্ষেপ থেকে কত টাকা বেশি আসবে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন খাত থেকে কী পরিমাণ আয় হবে সে বিষয়ের কোনো উল্লেখ নেই। কোন খাত থেকে আয় বাড়বে বা কমবে তা নব্বইয়ের দশকের বাজেটে দেখা গেলেও এখন আর তা দেখা যায় না। তিনি বলেন, বাজেটে আয়-ব্যয়ের যে প্রাক্কলন করা হয়েছে তা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ভিত্তিতে। কয়েক মাস পর যখন চলতি অর্থবছরের প্রকৃত অর্জন জানা যাবে, তখন দেখা যাবে এই প্রাক্কলন সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ কম। সিপিডির মতে, সম্প্রসারণমূলক বাজেট হলেও তার ঘাটতি অর্থায়ন মেটাতে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের দুর্বলতার কারণে অভ্যন্তরীণ ঋণভার বাড়ছে। আর এভাবে চলতে থাকলে ক্রমে সুদের দায় বেড়ে অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি করবে।