চুয়াডাঙ্গা বিএনপির পৃথক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দের নতুন অবস্থান হলো দৃশ্যমান

দেশব্যাপী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছে দলটি

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় পালিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দের ভাঙাগড়ার নতুন ছবি ফুটে উঠেছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার পৃথক অবস্থান যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনই যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে ভাগাভাগির বিষয়টিও দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ব্যানারে পৃথক দুটি স্থানে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারা দেশে বিএনপি অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস । অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এম জেনারেল ইসলাম, সদর উপজেলা সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল, সরদার আলী হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ ডাবলু মিয়া। পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটুর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণাই শুধু দেননি জাতীর এক ক্রান্তি লগ্নে রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি তালা বিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। আজকের এই শোক দিবসের শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে লালন করে এবং যথায়থ পালন করে আবারো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠারা সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন দেশ নেত্রী বেগম খালেদাজিয়া আমাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে একটি কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন, এই কমিটিকে পাস কাটিয়ে যারা ইচ্ছা মত যত্রতত্র বিশৃঙ্খলা ভাবে কর্মসূচি পালন করছে তারা মূলত বেগম জিয়াকেই অবমাননা করছে। সুতরাং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমান্ত টাউনহলে আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। জেলা বিএনপি সদস্য অ্যাড. শামীম রেজা ডালিমের উপস্থাপনায় প্রধান বক্ত্যা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য লে. কর্ণেল সৈয়দ কামরুজ্জামান (অবঃ)। বিশেষ অথিতি ছিলেন হাজি ইঞ্জিনিয়ার মখলেছুর রহমান তরফদার টিপু, শহিদুল কাউনাইন টিলু, খাজা আবুল হাসনাত, শহিদুল ইসলাম রতন, আবু জাফর মন্টু, সাইদুর রহমান ধন্দু, মো. ফজলুর রহমান, লিয়াকত আলী শাহ, অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিক, রেজাউল করিম মুকুট, শেখ সাইফুল ইসলাম, খন্দকার হাজি শওকত আলী, আইনুর হোসেন পচা, আনোয়ার হোসেন, ইস্রাফ হোসেন, নাজমুস সালেহীন লিটন কমিশনার, আবু আলা শামসুজ্জামান, জেলা জাসাসের সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাস, বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক পল্টু, যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মজিবর রহমান মনা, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, শরিফুল আলম বিলাস, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সাবু তরফদার, অ্যাড. বদিউজ্জামান, মশিউর রহমান কমিশনার, জহুরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, সুজন মালিক, খ.ম ইউসুফ তৌফিক খান। আলোচনাসভা শেষে রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের সু সংগঠিত হতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। যারা দলীয় মুখোশে অন্য দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে তাদের মুখোশ খুলে আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এবং বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দের আয়োজনে গতকাল বাদ আসর সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে দোয়া মাহফিল ও দারিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া মাহফিলে জেলা যুবদলের যগ্ম আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা নজমুল হক স্বপন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসদুল হক বটুল, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালহা, জাসাসের সাদারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবীব, সাবেক ছাত্র নেতা আসাবুল ইসলাম বিট্টু, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, সাইদুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ইউসুফ, হোসেল আহম্মেদ মালিক সুজন, তানভীর হোসেন রাজিব, সাবেক চাত্র নেতকা হামিদ উদ্দীন বাবু, গোলাম হোসেন বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল পরিচারনা করেন মাওলানা জাহিদ হোসেন।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলা বি,এন,পি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় দলীয় অফিসে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সহসভাপতি আবুল কাশেম, প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বি,এন,পি সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, বিশেষ অতিথি সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, মহিলা দলের নেত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বি,এন,পি’র সভাপতি আব্দুর রহমান মালিতা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, নাটুদহ ইউনিয়ন বি,এন,পি’র সভাপতি সামসুল আলম, জুড়ানপুর বি,এন,পি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপু, হাউলী ইউনিয়ন বি,এন,পি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বি,এন,পি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপরি সভাপতি শফিউল্লা, সম্পাদক আশরাফুল আলম, বিল্পাব, আরো ছিলেন যুবদলনেতা সামসুল, মন্টু, জামালাল মোল্লা, ছাত্র দলের নেতা মিল্টুন, আরিফুল, প্রমুখ। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় কলাবাড়ি-রামনগর হাই স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপিত্ব করেন আনুষ্ঠিত হয়েছে জুড়ান পুর ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী। প্রধান অতিথি হিসাবে ইপস্তিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বি এন পি র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।বিষেশ অতিথি হিসাবে ছিলেন দামুড়হুদা ইউনিয়ন বি এন পি র সভাপতি আ: রহমান মালিতা,ইউনিয়ান জামায়েতরে আমীর মাও:সামছুল আলম, ইউনিয়নের বি এন পির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন,ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপু, ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মামুন মন্ডল,সংগাঠনিক সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক জোয়াদ্দার,প্রচার সম্পদক আলমগীর হোসেন, ৪নং ওয়াডের সভাপতি শহিদ হোসেন, ৫নং ওয়াডের সভাপতি আশাদুল হক,সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়াডের সভাপতি নিজাম উদ্দীনও সম্পাদক রুহুল আমীন ,৭নং ওয়াডের সভাপতি মহাবুব আলম, ৮নং ওয়াডের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ৯নং ওয়াডের সভাপতি শিতল আলী, দামুড়হুদা যুবদলের নেতা সামসুল ও মন্টু। বক্তব্য শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওঃ সামসুল আলম।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্দোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা দারুস-সালাম ময়দানে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রিয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বিএনপির জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সরদার আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মনিরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুল হক পিন্টু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আব্দুর জব্বার, ইলিয়াস হোসেন, আজিবার রহমান, মিল্টন মল্লিক, মিনাজ উদ্দিন চেয়ারম্যান, শহিদুদ্দোজা মিল্টন, আব্দুর রশিদ হ্যাবা, কামরুজ্জামান বকুল, আব্দুল মালেক,শাহ আলম, ঝন্টু মালিথা, কামাল হোসেন, আইনাল হক, দাউদ, মতিয়ার রহমান, হারুনার রশিদ, শিহাব উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আইনাল হক, নজরুল ইসলাম, মুকুল, হাসিবুল কমিশনার, নাসির উদ্দিন কমিশনার, ফরহাদ হোসেন, শেরেগুল, রফিউদ্দিন, মামুনুর রশিদ, ওল্টু, রহিদুল, বরকত, ঝন্টু, লালচাঁন, ইফতেখর, মিলন, কন্ক, মনিরুল, সমশের, প্রিন্স, বিপ্লব, ওয়াদুদ, মমিন, লতিফ, কামাল, টরিক প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও র‌্যালি করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের বোস প্রাঙ্গনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ। পরে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। আলোচনা সভা ও র‌্যালিতে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেছেন, দেশ ও জাতীর এক ক্রান্তিলগ্নে জিয়াউর রহমান আর্বিভূত হয়েছিলেন। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি)। সৎ আদর্শের পথ অনুসরণ করে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন বিধায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। তাই তার রেখে যাওয়া সকল কর্মসুচী বাস্তবায়ন করতে হলে ন্যায় ও সততার উপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দাল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা চেয়াম্যান মুরাদ আলী, পৌর বিএনপি সভাপতি ইনাসারুল হক ইন্সু, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, মকবুল হোসেন মেঘলা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, উপজলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা ইনামুল হক, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামানা, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা রবি, জাহিদ, সুজন কবির প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দো’আ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. রুহুল আমিন। এর আগে সকাল সাতটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসুচী উদ্বোধন করেন আমজাদ হোসেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঝিনাইদহে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম মশিয়ুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এম এ মজিদ। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল আলিম, অর্থ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, বিএনপি নেত প্রভাষক কামাল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আহসান হাবীব রণক, প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাজেদুর রহমান পপ্পু ও আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছে, হরিণাকুন্ডুতেবিএনপির উদ্যোগে শনিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়। সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের নানা কর্মসূচীর সূচনা করা হয়। পরে বিএনপির পৌর সভাপতি জিন্নাতুল হক খানের সভাপতিত্বে জিয়াউর রহমানের জীবনীর উপর এক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের পৌর সেক্রেটারী আনিসুর রহমান কাউন্সিলর, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মন্ডল, উপজেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারী আবুল হাসান মাস্টার, জয়েন্ট সেক্রেটারী জমির উদ্দিন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক তাইজাল হোসেন, যুবদল সেক্রেটারী রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতা আলতাব হোসেন, শািহদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম. ছাত্রদলের উপজেলা সভাপতি আব্দুস সামাদ, পৌর সভাপতি আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। হাফেজ বেলাল্ল গনির পরিচালনায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে দুপুরে ফলসী ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা সাধারন সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড, এমএ মজিদ। পরে তিনি দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরন করেন। দলীয় সূত্র জানায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা ও পৌরসভার ৮৪টি স্পটে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপির প্র্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হয়।

ডাকবাংলাপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝনাইদহের সাধুহাটিইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে গত কাল বিকলি ৪ টায় শহীদ জিয়ার মৃত্যুবাষিক পালিত হয়েছে,অনুষ্টানে সভাপতিত্বো করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাস,প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান,বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান কামাল,যুবদলের সভপিতি জাহাঙ্গির আনাম,ওলিয়ার রহমান,রিপন আহাম্মদ প্রমুখ।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় সরোজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হয় ।কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ,কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ ,যুগ্নসম্পাদক আমিরুল ইসলাম লাল ,১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কলম হোসেন ,সম্পাদক মওলা মিয়া ,৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুনছুর আলী ,সম্পাদক আজিজুল হক,৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন ,৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক হাসান আলী ,২নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক আঃ রহিম,৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক ডালু প্রমুখ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল।

 

ঢাকা অফিস জানিয়েছে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১২টায় শেরেবাংলানগরস্থ জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিএনপি এ দিনকে ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৪ দিনের কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এদিকে শনিবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে তাদের প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি মেডিকেল সেবা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে দলটি। জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়া পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, জাসাস, ওলামা দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-এ্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ সমমনা বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।