ঝিনাইদহে লিচু রক্ষা করতে কারেন্ট জাল ব্যবহারে মারা যাচ্ছে বাদুড়সহ বিভিন্ন পাখি

কামরুজ্জামান শিপলু: বাদুড় ও পাখির হাত থেকে লিচু রক্ষার জন্য ঝিনাইদহে কারেন্ট জাল ব্যবহার করার ফলে মারা যাচ্ছে বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এছাড়াও বেগুনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতেও হত্যা করা হচ্ছে পাখি। লিচু রক্ষার নামে নির্বিচারে পাখি নিধনের ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় অনেকে লিচু চাষে ঝুঁকে পড়ছে। লিচুগাছ একবার লাগালে একাধারে ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত লিচু পাওয়া যায়। এছাড়া লিচু চাষে গাছ লাগানোর পর তেমন খরচ নেই। তাই লিচু চাষে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন। লিচু পাকলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও বাদুড় বাগানের লিচু খেয়ে সাবাড় করে। পাখির হাত থেকে লিচু রক্ষায় চাষিরা মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাগানের মাঝে মাঝে টাঙিয়ে রেখেছে। লিচু খেতে আসা বাদুড় ও পাখি বাগানে এসে কারেন্ট জালে আটকা পড়ছে। এছাড়া স্বাভাবিক চলার পথেও কারেন্ট জালে আটকা পড়ে জীবন হারাচ্ছে উড়ন্ত পাখি ও বাদুড়। জেলা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ আহমেদ সঞ্জু জানান, বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। তবে এক শ্রেণির বাগান মালিক কোনোভাবেই এসবের তোয়াক্কা করছে না। তিনি সরকারের কাছে পাখি নিধনের প্রতিরোধ দাবি করেছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, লিচু চাষিসহ অন্য চাষিরাও প্রাণিকুলের ক্ষতি করে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে ফেলছে। বিষয়টি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ বিষয়ে সচেতনতা ও কারেন্ট জালের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।