থাইল্যান্ডের জঙ্গলে বাংলাদেশি অভিবাসীর গণকবর আবিস্কার : মৃতপ্রায় শ শ বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধারের খবরে গ্রাম বাংলায় কান্নার রোল
আলমডাঙ্গা ব্যুরো/ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েক হাজার কিশোর-যুবকদের বিনা পাসপোর্ট-ভিসায় পানিপথে বিদেশ নিয়ে সর্বনাশকারী নরপশু প্রায় অর্ধ শতাধিক দালাল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বেশিরভাগই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাঢাকা দিয়েছে। পাল্টে নিয়েছে মোবাইলফোনের সিম। কিছু সংখ্যক দালাল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহেরও কয়েকশ যুবকের হদিস মিলছে না বলে তথ্য পাওয়া গেছে। মানবপাচারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যেই ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ছোট শলুয়ার বিপ্লব হোসেন বিপুলকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার সহযোগীদের ধরতে পুলিশি অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
আলমডাঙ্গার বহু পরিবারের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে বেশ কয়েক হাজার উঠতি বয়সী কিশোর-যুবককে পানিপথে মালেশিয়ায় নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চরম সর্বনাশ ঘটানো হয়েছে। বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর নামে এ বিপদে ঢেলে দেয়া হয়েছে। মোটা অংকের টাকা বেতনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের বেশির ভাগকেই পরিবারের অগোচরে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলির দাবি। আলমডাঙ্গার, হাটবোয়ালিয়া, নগরবোয়ালিয়া, ভাংবাড়িয়া, ওসমানপুর, প্রাগপুর, লক্ষ্মীপুর, হারদী, পারদূর্গাপুর, বণ্ডবিল, রোয়াকুলি, জোড়গাছা, আসাননগর প্রভৃতি গ্রামে এ সর্বনাশ ঘটানো হয়েছে। এ সকল গ্রাম থেকে শ’শ উঠতি বয়সি কিশোর-যুবক একেক বারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের প্রায় ২৫ ভাগের করুণ মৃত্যু প্রথমেই হয়েছে বলে অনেক ওয়াকিবহাল মহল দাবি করেছে। নগরবোয়ালিয়ার রাসেলসহ এদের অনেককেই বেদম পিটিয়ে সমুদ্রে ফেলে মারা হয়েছে। প্রায় অর্ধেকের সাথে পরিবারের স্বজনদের একবারের জন্যও মোবাইলফোনে যোগাযোগ হয়নি। এদের কেউ ৬ মাস আবার কেউ ১ বছরের অধিক সময় ধরে নিখোঁজ বলে পরিবারের দাবি।
বর্তমানে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে বাংলাদেশি অভিবাসীর গণকবর আবিষ্কার, মৃতপ্রায় শ শ বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার, পাচারমুখি মৃতপ্রায় হাজার হাজার বাংলাদেশিকে ইন্দোনেশিয়া-মালেশিয়ার উপসাগরে মানবেতরভাবে ভাসমান অবস্থায় আবিষ্কার, খাবারের জন্য দীর্ঘদিনের ভূখা-নাঙ্গা মানুষ পরস্পর নিষ্ঠুরতম প্রতিযোগিতায় শ শ বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় আলমডাঙ্গার জনপদে জনপদে এখন কান্নার রোল। পানিপথে মালেশিয়ায় পাড়ি জমানো আলমডাঙ্গা এলাকার বিপদগ্রস্তদের স্বজনেরা রয়েছেন গভীর উৎকণ্ঠায়। তাদের চাপা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল, রোয়াকুলি, শেখপাড়া, ওসমানপুর, প্রাগপুর, ভাংবাড়িয়া, হাটবোয়ালিয়া, নগরবোয়ালিয়া, পার্শ্ববর্তী গাংনীর হেমায়েতপুর, রুয়েরকান্দি, আমতৈলসহ প্রভৃতি গ্রামের শ শ লোককে বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় পানিপথে মালেশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই উঠতি বয়সী কিশোর। গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর, রুয়েরকান্দি, আমতৈল, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া, নগরবোয়ালিয়া, ভাংবাড়িয়া ,শেখপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের শ শ লোক এভাবে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হেমায়েতপুরের শুকুর আলির ছেলে জাহিদের বিরুদ্ধে। হাটবোয়ালিয়া এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, পানিপথে অবৈধভাবে অনেকের সাথে মালেশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন শেখপাড়ার জনৈক এক যুবক। থাইল্যান্ডে বেশ কয়েক মাস জেল খাটার পর তিনি ফিরে এসেছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তারা এক সাথে ৫২৫ জন ছিলেন। পানিপথে যাওয়ার সময় সাগরেই মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। এছাড়া আলমডাঙ্গার নগরবোয়ালিয়ার ঠাণ্ডুর কিশোর ছেলে রাশেদ, ইয়াকুবের ছেলে শাহ জামাল, গাংনীর হেমায়েতপুরের নিহাজ উদ্দীনের ছেলে কালু, রুয়েরকান্দির আয়ুব কালার ছেলে বাবলুকে পানিপথেই সমুদ্রে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাশেদসহ একাধিক কিশোর খাবারের জন্য কান্নাকাটি করায় তাদের তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেলেও তার সত্যতা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। পানিপথে মালয়েশিয়া গমনকারী বণ্ডবিল গ্রামের ৬ ব্যক্তির কোনো সংবাদ না পেয়ে এমনিতেই তাদের পরিবার ছিলো উৎকণ্ঠিত। বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমে থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে গণকবর আবিষ্কার ও শ শ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধারের সংবাদ দেখে তারা একেবারে ভেঙে পড়েছে। পরে থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় শতাধিক মৃতপ্রায় ব্যক্তির মধ্যে বণ্ডবিলের একজন জীবিত আছে এ সংবাদ জানলেও ৬ জনে মধ্যে কোনো ভাগ্যবান সে তা কেউ জানতে পারেনি। বাড়ি থেকে যাওয়ার পর আজোবধি তাদের কোনো সংবাদ পায়নি পরিবার পরিজন। প্রাগপুরের প্রায় ২০ জন ছেলেকে পানিপথে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২/৩ জনের কোনো সংবাদ কেউ দিতে পারেনি। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা আর বেঁচে নেই। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ওসমানপুরের প্রায় ৩০ জন যুবককে পানিপথে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের অনেকেরই সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে না।
অতি সম্প্রতি স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মানবপাচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি বার বার ব্যক্ত করায় এ অঞ্চলের দালালরা রাতারাতি গাঢাকা দিয়েছে। এদের অধিকাংশ ঢাকা, চিটাগংসহ বিভিন্ন স্থানে গাঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। শুধু যে দেখাই যাচ্ছে না তাই নয়, তারা নিজেদের মোবাইলফোনসেটের সিমও পরিবর্তন করে নিয়েছে। ফলে তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়া এখন অনেকটায় শক্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রামে যাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে রয়েছে, পারদূর্গাপূর গ্রামের হাসেমের ছেলে খায়রুল, বাড়াদীর নাসেরের ২ ছেলে জিয়া ও প্রবাসী স্বপন, একই গ্রামের ফজলুর ছেলে পিন্টু, এনায়েতপুরের খোদাবক্স, একই গ্রামের কাবেরের ছেলে আব্দুল হান্নান, মসলেম, মুন্সিগঞ্জের হাজী সোহরবের ছেলে মানোয়ার, জোড়গাছা গ্রামের উম্বাদ, আঠারোখাদার রুহুল, ওসমানপুরের রহিমের ছেলে আব্দুল, মৃত তুফান দাই’র ছেলে চঞ্চল দাই, কেশবপুরের আবুজেল, একই গ্রামের রওশন, ওসমানপুরের মুন্তাজের ছেলে আরিফ, প্রাগপুরের বজলু, নগরবোয়ালিয়ার আকতার ও মনোয়ার, হাটবোয়ালিয়ার ওসমান, ভাংবাড়িয়ার মিজান ও শহিদুল, কেদারনগরের ইউনুসের ছেলে আমিরুল, পারয়ালমডাঙ্গার ইসলামের ছেলে জামাল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুরের জাহিদ, কড়ইগাছির মিজান চিহ্নিত মানবপাচারকারী দালাল। পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার মালিহাদ নতুনপাড়ার বাবু, আব্বাস, নজরুল, মহিদুলের বিরুদ্ধেও মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে অনেক দালাল আবার নিজেকে বাঁচাতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে এদের অপকর্মের জন্য কেউই ঠাঁই দিচ্ছে না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে ঝিনাইদহের শতাধিক যুবকের কোনো হদিস নেই। তারা কোথায় আছেন, জীবীত আছে, নাকি মৃত তা জানে না তাদের পরিবার। ফলে শোকে পাথর হয়ে কান্নার ভাষা হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। নিখোঁজ পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম। জেলার ৬ উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক যুবক মানবপাচারকারী ও তাদের নিয়োজিত দালালদের খপ্পড়ে পড়ে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলো। তারপর কেটে গেছে মাস এমনকি বছর। খোঁজ মেলেনি এ সব ব্যক্তিদের। ঝিনাইদহের চিহ্নিত মানবপাচারকারীরা এখন ৱ্যাব ও পুলিশের ভয়ে গাঢাকা দিয়ে থাকলেও তাদের দমনে নেই প্রশাসনের কোনো তৎপরতা।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, জেলায় দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারকারীরা সক্রিয়। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে তাদের নিয়োজিত দালাল। দালালদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় কথিত এসব আদাম ব্যবসায়ীরা। মালয়েশিয়াগামী যুবকদের স্বজনরা জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মানবপাচারকারী দেলোয়ার (৫৫) ও তার স্ত্রী তিন মাস আগে পাঁচ লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচজনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশে চট্টগ্রামে পাঠায়। সেখানে দেলোয়ারে আত্মীয় মাগুরার আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী পারুল বেগম কালীগঞ্জের পাঁচ যুবককে জাহাজে উঠিয়ে দেয়। এরপর দালাল দেলোয়ার চুক্তির টাকা দিতে চাপ দেয়। দেলোয়ারের দেয়া ব্যাংক একাউন্টে ও বিকাশ নম্বরে ৫লাখ টাকা করে ওই পাঁচ যুবকের স্বজনরা তারা পরিশোধ করে। ভাগ্যক্রমে ৫ যুবকদের মধ্যে শুধু আক্কাস আলী মালয়েশিয়া পৌছে বাড়িতে যোগাযোগ ফোন দেন। বাকি ৪ জনের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম, শৈলকূপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া গ্রামের আলম মোল্লা, মো. মনিরুল ইসলাম, বাদশা মল্লিক, নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের রুপদহ গ্রামের রবিউল ইসলাম, ঈমাম আলী, ব্যাসপুর গ্রামের মুকুল হোসেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাকিকেলবাড়িয়া গ্রামের মামুন ছাড়াও শৈলকূপার রঘুনন্দনপুর ও রুপদাহ গ্রামের আরো ১০/১২ জনের হদিস মিলছে না। মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে ফিরে এসেছেন হরিণাকুণ্ডুর মকিমপুর গ্রামের সেলিম। তিনি অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার হিরাডাঙ্গা গ্রামের হারুশাহ তাকে বিদেশ নিয়ে যায়। হারুশহ এর সহযোগী হলেন, মানব পাচারকারী পিন্টু, কালাম ও রফিক। সুড়োপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান ও আনসার আলী অভিযোগ করেন হারুশাহ হাসান এবং রাবিককে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছে পবহাটি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আফাঙ্গীর হোসেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বুদো মালিথার ছেলে আশাদুল ৬ জনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে বিদেশ পাঠাতে পারেনি। সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের ছেলে খলিলুর রহমান ও একই গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে আজিজুর রহমান ২০০১ সালে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে বলে বংকিরার কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
এদিকে স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে এলাকাবাসী বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার হিরেডাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জেল শাহ’র ছেলে হারুন শাহকে আটক করে ৱ্যাব খবর দেয়। খবর পেয়ে ৱ্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হারনের সহযোগী খায়রুল, ইমদাদুল ও মাজেদুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালিয়ে হারুনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশের আশঙ্কা ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় অন্তত শতাধিক যুবত অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড গমনের পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন জেলার শতাধিক যুবক মালয়েশিয়া গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে দুটি। পুলিশ ইতোমধ্যে পাচারকারী আতিয়ার রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা চাইলে প্রদান করা হবে। ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল বলেন, সদর উপজেলার হারুশাহসহ অন্যান্য মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।