দামুড়হুদায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে কাজির জেল

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার নাপিতখালী গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক কাজী কুতুব উদ্দিনের ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের তারানীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল আজিজের সাথে একই ইউনিয়নের পুরাতন হাউলী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের নাবলিকা মেয়ে দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী মনজুরা খাতুনের (১৬) সাথে গতকাল বুধবার পারিবারিকভাবে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। দুপুরে প্রায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে বরপক্ষ হাজির হয় কনের পিতার বাড়িতে। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি কুতুব উদ্দিন দুপুর আড়াইটার দিকে বিয়ে বাড়িতে যান এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই বাল্যবিয়ে পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান। তখন বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া চলছিলো। চতুর কাজি কুতুব উদ্দিন ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জন্ম সনদে দেখেন কনের বয়স ১৬ বছর। বিয়ে পড়ানো হয়েছে কি-না জানতে চাইলে কুতুব কাজি বিয়ে পড়িয়েছেন বলে ইউএনওকে জানান কনের পিতা মোজাম্মেল হোসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযুক্ত কাজি কুতুব উদ্দিনকে মোবাইলফোনে তলব করেন এবং বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে কুতুব কাজির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ১৯২৯’র ৫ ধারা মোতাবেক তাকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কবির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ ফয়জুল ইসলাম ও উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে সহযোগিতা করেন।