দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয় ও ছাপাখানা সচিমা প্রিন্টার্সে হামলা : ব্যাপক ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার: দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয় ও ছাপাখানা সচিমা প্রিন্টার্সে প্রায় একই সময়ে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পরপরই মোটরসাইকেলযোগে ও হেঁটে গিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটিতে হামলা চালায় ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত।

r

প্রধান কার্যালয়ের মূল দরজা বন্ধ থাকায় হামলাকারীরা সেখানে হম্বিতম্বি করে ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও ছাপাখানা তছনছ করা হয়েছে। ছাপাখানার তিনটি স্থানে রাখা কাগজ ও কাগজে আগুন ধরিয়ে মেশিনের ওপরও ছুঁড়ে দেয়া হয়। ভাগ্যিস সে আগুন ভয়ঙ্কর রূপ নেয়নি। দুটি ছাপাযন্ত্রের ব্যাপক ভাঙচুরও করেছে হামলাকারীরা। একটি প্রবোক্স মাইক্রোবাসে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রেসের জানালার কাঁচ, টেবিল, চেয়ার ও টিভিসহ বাথরুমের বেসিনও রক্ষা পায়নি। দুটি বাইসাইকেল, নৈশপ্রহরীর মোবাইলফোনটিসহ প্রেসে থাকা সম্পাদকের চেয়ারটিও তুলে নেয়া হয়েছে। দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রধান কার্যালয়ে হামলাকারীরা সম্পাদক-প্রকাশক সরদার আল আমিনকে গালিগালাজ করে……..অনুষ্ঠানের সংবাদ ছাপা হয়নি কেন বলে প্রশ্ন তোলে। প্রেসে হামলাকারীরা নৈশপ্রহরীর নিকট সম্পাদকের সন্ধান চেয়ে বেশ কিছু সময় ধরে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুফি উল্লাহ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নৈশপ্রহরীর নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির তালিকাও প্রস্তুত করেন। গোয়েন্দা পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বড়বাজার ফেরিঘাট রোডে। ছাপাখানা সচিমা প্রিন্টার্স স্টেশনের অদূরবর্তী গম-চাল পট্টির নিকট। সন্ধ্যার পর দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় একই সময়ে হামলার ঘটনা জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সম্পাদক-প্রকাশক সরদার আল আমিন এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত মামলা করেননি। তিনি বলেছেন, যে রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে রিপোর্টটি পত্রিকা অফিসে কেউ সরবরাহ করেননি। আয়োজকদের তরফে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। অথচ হামলা হলো। হামলায় প্রবোক্স মডেলের মাইক্রোবাসটির মালিক চুয়াডাঙ্গার এসএম ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মাসুম মণ্ডলের। (ঢাকা-মেট্রো-খ-১২-২১৩৫) মাইক্রোটি তছনছের বিষয়েও মামলা হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুফি উল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত হোসেন অভিন্ন ভাষায় বলেন, এ ধরনের হামলা মেনে নেয়া যায় না। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হামলার প্রতিবাদে গতকালই মেহেরপুর, গাংনী, আলমডাঙ্গা, দর্শনাসহ বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক সমাজ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেছেন, দলের পক্ষে থেকে এ হামলা নিন্দার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা গণমাধ্যমে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

উল্লেখ্য, তাৎক্ষণিকভাবে একটি একটি মেশিন মেরামত করে আজ পত্রিকা প্রকাশ করা হলো।

 

aa aaaa