কোলকাতায় বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের মূল হোতা বাংলাদেশি গ্রেফতার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কোলকাতার রানাঘাটে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের মূল হোতা মিলন সরকার নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ। সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, মিলন সরকার নামে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের মূল অভিযুক্তকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত ওহিদুল ইসলাম ওরফে বাবুকেও এ দিন গ্রেফতার করা হয়েছে। মিলন এবং বাবু দুজনই বাংলাদেশি বলে ভারতীয় পুলিশ দাবি করেছে।

সিআইডির ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (অপারেশন) দিলিপ কুমার আদাক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের রানাঘাটের একটি আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর তারা বাংলাদেশেই পালিয়ে যায়। সে কারণে প্রথমে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। গোপন সূত্রে বাংলাদেশ থেকে তাদের ফেরার খবর পেয়ে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল তাদের গ্রেফতার করে।

গত ১৪ মার্চ রানাঘাটের খ্রিস্টান মিশন পরিচালিত একটি কনভেন্ট স্কুলে ঢুকে লুটপাট এবং ৭৪ বছরের এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করা হয়। দেশজুড়ে এ ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠে। স্কুলের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে আট অভিযুক্তের ছবি পাওয়া গেলেও অপরাধীদের ধরতে কার্যত ব্যর্থ হয় রাজ্য পুলিশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। অপরাধীরা ভিন রাজ্যে বা দেশে গাঢাকা দিতে পারে এ সন্দেহে তদন্তের ভার সিআইডির হাতে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় গত ২৬ মার্চ সিআইডি প্রথম গোপাল সরকার, শেখ সেলিম ও মিন্টু শেখকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর হাবরার বাসিন্দা গোপালের বাড়িতেই ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়েছিলো বলে পুলিশ জানতে পারে। এর আগে ওই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গত এপ্রিলে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই মিলন ও বাবুর খোঁজ পায় সিআইডি। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন স্কুলের সিসি টিভি ফুটেজেও মিলন এবং বাবুর ছবি ছিলো।