ঘুরে দাড়াতে চায় স্বাগতিকরা

টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ পেসার মোহাম্মদ শহীদ মনে করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে প্রাধান্য বিস্তার করলেও আজ বৃহস্পতিবার স্বাগতিকদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। এ জন্য বোলারদের লাঞ্চের মধ্যেই ভালো নৈপুণ্য দেখাতে হবে। এরপর ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সুনাম অনুযায়ী ব্যাট করতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষেও বড় সংগ্রহ গড়া সম্ভব বলে মত দেন তিনি।

গতকাল মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের হয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন এ পেসার। এ সময় তিনি স্বীকার করেন বাংলাদেশ দল যে সুযোগগুলো পেয়েছিল তা কাজে লাগাতে পারেনি। মোহাম্মদ শহীদ বলেন, যে সুযোগগুলো আজ আমাদের হাতে এসেছে, সেগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। কিছু বল নো হয়েছে। এটা তো আর আমরা ইচ্ছা করে করিনি। হয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ আগামীকালকে চেষ্টা থাকবে ম্যাচে কামব্যাক করার।

উইকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উইকেটে ঘাস ছিলো। বল খুব মুভ করছিলো। অবশ্যই আমি সহায়তা পাচ্ছিলাম। উইকেটে ভালো হেল্প আছে। আগামীকাল লাঞ্চের আগে যদি ভালো বোলিং করতে পারি তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচাইতে সফল। উদ্বোধনী দিনে ২১ ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে দু উইকেট নেন তিনি। ইনজুরির কারণে পেসার শাহাদাত হোসেন মাঠ থেকে চলে যাওয়ার পর তার ওপর চাপও বাড়ে। যদিও তিনি জানান যে সে রকম কোন চাপ ছিলো না। শহিদের মতে- ‘প্রেসার ওরকম ছিলো না। শাহাদাত ভাই থাকলে আরো ভালো হতো। উইকেট পাওয়াতে ভালো লাগছে। শেষ ম্যাচেও উইকেট পেয়েছি। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।

পাকিস্তানের দু ব্যাটসম্যান ইউনিস খান ও আজহার আলী গতকাল জোড়া সেঞ্চুরি করার পেছনে অবদান রাখে বাংলাদেশ বোলারদের ছোড়া নো বলগুলো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘নো বল যেটা হয়েছে সেটা আরেকটু পেছন থেকে করলে ভালো হতো। এরপর অবশ্য পেছন থেকে বোলিং করেছি। যেটা হয়ে গেছে সেটা এখন শেষ। এটা নিয়ে কথা বলে কোন লাভ নেই। চিন্তা করছি নো বল চেক দেয়ার জন্য। আরেকটা উইকেট পেলে আরো ভালো হতো। উইকেটে এখনও মুভমেন্ট আছে। আমাদের ব্যাটসম্যনরা যখন ব্যাটিং করবেন। বল দেখে ব্যাটিং করলে আমাদের যে ব্যাটসম্যানরা আছে, তাদের পক্ষেও বড় স্কোর গড়া সম্ভব।’