গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাদিজা আশরাফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক আশরাফুল ইসলামসহ তার লোকজনকে মিথ্যা মামলায় আটক করে হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। গতকাল বুধবার সকালে নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী শাহানা ইসলাম এ অভিযোগ করে রাজনৈতিক ও সেবামূলক কাজ অব্যহত রাখতে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি শাহানা ইসলাম বলেন, তার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আটক করা হয়েছে। তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। একটি গোষ্ঠী গাংনীবাসীকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে আশরাফুল ইসলামের রাজনৈতিক পরিচয়কে মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি ২০০৫ সাল থেকে গাংনী পৌর যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। জামায়াত-বিএনপির নাশকতা প্রতিরোধে কিছুদিন আগে গাংনীতে ডিআইজির অনুষ্ঠানে আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে উপস্থিত হন এবং মঞ্চেও ছিলেন। এর পরেও একটি মহল তাকে জামায়াত-বিএনপি বলে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
গত ২৬ এপ্রিল খাদ্যগুদামে মহিলা এমপি সেলিনা আখতার বানুর অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে বাস ভবনে জড়ো হওয়ার সময় একটি পক্ষ তাদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করে তিনি বলেন, হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আশরাফুল ইসলামের ভাই আনারুল ইসলামসহ উপস্থিত লোকজন ভুমিকা পালন করে। এতেই তাদের নামে মামলা দায়ের করে হাজতে পাঠানো হয়। আগামী পৌর নির্বাচনে আশরাফুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উল্লেখ করে তিনি আরে বলেন, রাজনীতি ও সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করায় দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাজতে থাকলেও সেবামূলক কাজ চলমান রাখার জন্য স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন। আর্থিক সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে। তাই সমাজ সেবা ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আশরাফুল ইসলামসহ তার সাথে আটক সকলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাংনীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে আশরাফুল ইসলাম নিজের দলীয় পরিচয় হিসেবে গাংনী পৌর যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকদের কাগজপত্র সরবরাহ করেন। যুবলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্বপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ স্বাক্ষরিত যুবলীগের প্যাডে একটি প্রত্যায়নপত্রও ছিলো। এর প্রেক্ষিতে পরদিন শফি কামাল পলাশ এক লিখিত বিবৃত্তিতে জানান আশরাফুল ইসলাম যুবলীগের কেউ নন এবং ওই প্রত্যায়ন পত্র তার দেয়া না।