ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ এবং

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ : মুক্ত আলোচনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের তরফে অভিভাবকদের এ বিষয়ে আন্তরিক হতে বলা হলে, অভিভাবকদের তরফে বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে মুক্ত আলোচনা হয়। ১০ম শ্রেণির অনেক ছাত্রী প্রাইভেটে আন্তরিক হলেও স্কুলে আসতে চায় না। এ প্রসঙ্গে শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। তারা বলেন, আপনার সন্তান বিদ্যালয়ে আসে না। কেন আসে না? আমাদের পাশাপাশি আপনারা একটু খেয়াল রাখলেই শতভাগ শ্রেণিতে উপস্থিতি সম্ভব। তাছাড়া অনেক ছাত্রী সেলফোন নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এটা ঠিক নয়। এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিভাবকদের তরফে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, বিদ্যালয়ের বদলে কেন ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউটরের কাছে পাঠাতে হয়? সেখানে শতভাগ উপস্থিত হলেও বিদ্যালয়ে কেন হয় না? বিদ্যালয়ের শ্রেণিতে শিক্ষাদানে সন্তুষ্ট হলে নিশ্চয় ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতো। এদিকেও তো শিক্ষকদের বিশেষ নজর দেয়া দরকার। তাছাড়া কিছু শিক্ষক আছেন, যারা বিদ্যালয়ে পাঠদানে যতোটা না আন্তরিক তার চেয়ে ঢের বেশি প্রাইভেট পড়ানোর ক্ষেত্রে। এ ধরণের মানসিকতা যেমন পরিহারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনই বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্যও যাতে না হয় সেদিকেও তো আন্তরিক হওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমীন। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন উজ্জ্বল। অভিভাকদের আলোচনার উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রীদের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে। কারণ একটা শিক্ষক যখন শ্রেণিতে পাঠদান করতে না যান তখন ছাত্রীদের দায়িত্ব কী হবে শিক্ষক কেন শ্রেণিতে আসছেন সেটা জানা এবং শিক্ষককে ক্লাসে ডেকে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু না তারা এটা করে না। আর আগে ছিলো এক শিফটে যে পরিমাণ ছাত্রী এখন দু শিফটে তার ডাবল। অধিকংশ শিক্ষক বদলি নিয়ে চলে গেছেন। আর সেই পদ পূরণ হয়নি। ফলে পাঠদান দেয়া একটু সমস্যা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি ইতোমধ্যেই পরিচালককে জানিয়েছি তিনি বলেছেন, আপনার ওখানে কেউ যেতে চাচ্ছেন না।