কৃষকলীগ নেতা আফরুর সাথে বিরোধে হত্যা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাস্তহারালীগের সহসভাপতি মঞ্জুর রশীদ হত্যা মামলায় আটক মাইমুন হাসান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সে জানিয়েছে, ব্যবসা ও রজনৈতিক বিষয় নিয়ে কৃষকলীগ নেতা আফরুজ্জামান আফরুর সাথে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর হত্যায় জড়িত মোট ৬ জন। এজন্য প্রত্যেককে একটি করে নতুন পালসার মোটরসাইকেল দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইব্রাহিম আসামি মাইমুন হাসানের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আটক মাইমুন হাসান শহরতলীর শেখহাটি দক্ষিণপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাস্তুহারালীগের সহসভাপতি মঞ্জুর রশীদ যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে বসবাস করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে একই এলাকার কৃষকলীগ নেতা আফরুজ্জামানের সাথে মাছের ঘের ও রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে কোন্দল চলছিলো মুঞ্জর রশীদের। গত ৭ এপ্রিল বিকেলে শহর থেকে বড়ি ফেরার পথে শহরের আরএন রোড খালধার রোডের মাথায় একদল সন্ত্রাসী গুলি করে মঞ্জুর রশিদকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আরা বেগম চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ পরের দিন ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এলাকাবাসীর সহায়তায় কৃষকলীগ নেতা আফরুজ্জামান ও হাসানকে আটক করে। দীর্ঘদিন পর রোববার পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মাইমুন হাসানকে আটক করে। সোমবার আদালতে সোপর্দ করলে মাইমুন হাসান হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

সে আদালতকে জানিয়েছে, কৃষকলীগ নেতা আফরুজ্জামান আফরুর সাথে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিলো। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল আফরুজ্জামান বাউলিয়ার বেলেঘাট স্কুলে এক বৈঠক ডাকে। সেখানে আফরু, মাইমুনসহ চানপাড়ার বায়েজিদ, হাসান ছাড়া আরও দুজন উপস্থিত ছিলো। এ সময় আফরু তার প্রতিপক্ষ মঞ্জুর রশীদকে হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করে। রশীদকে হত্যা করতে পারলে প্রত্যেককে একটি করে পালসার মোটরসাইলে কিনে দেয়া হবে বলে জানায় আফরু। তার প্রস্তাবে রাজি হয় তারা। পরদিন ৭ এপ্রিল বায়েজিদ রশীদকে ফলো করতে থাকে। বায়েজিদ বিকেলে মাইমুনকে খালধার রোডের মাথায় ডেকে আনে। আগে থেকে সেখানে বায়েজিদ, আফরুসহ ৫ জন উপস্থিত ছিলো। রশীদ শহর থেকে বড়ি ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে বায়েজিদ ইজিবাইকের মধ্যে ঢুকে রশীদের মাথায় গুলি করে। হাসপাতালে নেয়ার পর রশীদ মারা যায় বলে তারা জানতে পারে।

জবানবন্দিতে মাইমুন হত্যায় জড়িত ছয় জনের নামই জানিয়েছে। তবে অপর তিন আসামিকে আটকের স্বার্থে তাদের নাম জানাতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মাইমুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ