কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের রিফাত ছাত্রীনিবাসে ফাটল আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিনের ভূমিকম্পের কারণে ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ফাটল দেখা দেয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ৩০ ছাত্রী গত মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ছাত্রীনিবাস ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। এর আগে সকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম মুসতানজীদসহ ১২ জন শিক্ষক ও জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদ মো. কবীর ছাত্রীনিবাসটি পরিদর্শন করেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, ভবনটি অনেক পুরোনো। তৃতীয় তলায় কিছু পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে হালকা চিড় দেখা গেছে। সেটা আগের কি-না বা ভূমিকম্পে হয়েছে কি-না, এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এজন্য তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ১৯৬৪ সালে গণপূর্তের কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ২০১১ সালে মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাস হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভূমিকম্পে পড়ে যাওয়া পলেস্তারাগুলো মেরামত করা হবে। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তিনি জানান।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের চারটি বর্ষের ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য দুটি হোস্টেল আছে। এর মধ্যে রিফাত ও রহিমা-আফছার নামে দুটি মেয়েদের এবং মিলন নামে একটি ছেলেদের হোস্টেল গণপূর্তের তৈরি করা ৬০ বছরের পুরোনো ভবনে অস্থায়ীভাবে আবাসন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে হোস্টেলে গিয়ে দেখা যায়, রিফাত হোস্টেলের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ৩০ জন ছাত্রী নিজেদের বাড়ি চলে গেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ২৩ জন ছাত্রী এখনো এখানে রয়েছে। পারমিতা জামান নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী জানায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের বাইরে সারারাত বসে থাকেন।