২০১৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা শুরু

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৯৩ জন : বহিস্কার দুজন
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চুয়াডাঙ্গায় ২০১৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা দুপুর ২টায় জেলার সাতটি কেন্দ্রে একযোগে ইংরেজি (আবশ্যিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে ৯৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ও দু পরীক্ষার্থীকে নকলের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ২০ জুন পরীক্ষা শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ৬৪ জন, পৌর ডিগ্রি কলেজে ১০ জন, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজে ২৬৩ জন, বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ৭৪ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে (বিএ ও বিএসসি) ১২০৩ জন, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে ৩৬০ জন, এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজে ১৮২ জন, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ৯৯ জন, মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজে ৩১ জন, দর্শনা সরকারি কলেজে ৪০৭ জন, জীবননগর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে ১৬ জন, জীবননগর ডিগ্রি কলেজে ৩৩৫ জন ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে (বিবিএস, বিএসসি ও সার্টিফিকেট কোর্স) ২৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৩৫ জনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা। প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এক ছাত্র ও এক ছাত্রীকে নকলের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডিগ্রী পরীক্ষা সার্বিক তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বেগম আনজুমান আরা দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার কেন্দ্রসমূহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবু সাঈদ আলমডাঙ্গা উপজেলার কেন্দ্রসমূহ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেন্দ্রসমূহ আহ্বায়ক করে ১২ সদস্যর পৃথক তিনটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন জেলার সকল কেন্দ্রসমূহ তদারকি করছেন।
হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এবারই প্রথমবারের মতো হরিণাকুণ্ডু অঞ্চলের চারটি কলেজের ৩০৩ জন পরীক্ষার্থী এখানকার দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সরকারি লালন শাহ কলেজ কেন্দ্রে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও হাজি আরসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন অনুপস্থিত এবং সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সরকারি লালন শাহ কলেজ ও আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের ২২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ১২ পরীক্ষার্থী। এ কেন্দ্রে দুজন পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য পরীক্ষা শুরু থেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহমান কেন্দ্রে দুটিতে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন। সেই সাথে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে সরকারি কর্মকর্তা পরীক্ষা তদারকির দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।